অধিকার ডেস্ক ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫৪
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।
ওই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গুলশান থানা পুলিশকে এ নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন প্রাপ্তিসাপেক্ষে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টসহ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এ দিন এ মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরের লক্ষ্যে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারিসহ জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
মামলার শুনানিতে মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা কারাগার থেকে ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার সই নিয়ে এসেছি। তিনি কোনো অপরাধ করেননি। রাজনৈতিকভাবে তাকে হয়রানি করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আমরা আশা করছি, ওইসব মামলায় তিনি জামিন পেয়ে দ্রুত কারামুক্ত হবেন।’
অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হওয়ার পর বিচারক মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদেশের জন্য রাখেন। শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী।
পরবর্তী সময়ে আদালত তার আদেশে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রোডাকশন ওয়ারেন্টসহ জামিন আবেদন করেছেন।
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এছাড়া মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল হয়ে আসেনি। আসামির গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেয়া হলো।
এর আগে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়— ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখ বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি)-এর মিলনায়তনে শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’ এছাড়া খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে, বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওই বক্তব্যের জন্য ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলাটি দায়ের করেন। এরপর গত বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড