বিএনপির নেতৃত্বে ও নির্বাচনে আসছেন না জোবায়দা    

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান। এমনকি দলের হাল ধরতে নেতৃত্বেও আসছেন না তিনি।

সম্প্রতি কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত এক সংবাদে আসে বিএনপির হাল ধরতে শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। প্রকাশ করা হয় তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টিও।

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, সিলেট বা বগুড়া থেকে প্রাথমিক সদস্যপদ দিয়ে জোবায়দাকে আপাতত দলের ভাইস চেয়ারম্যান করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। নির্বাচনী কাজে সমন্বয়ের দায়িত্বও তার হাতে ছাড়ার কথা ভাবা হয়েছে। আপাতত তারেকের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি দল চালাবেন। পত্রিকাটি আরও দাবি করে, ক্লিন ইমেজের জোবায়দাকে বরণ করতে দেশের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুত।

তবে এসব বিষয়ের কোনো সত্যতা নেই বলে জানিয়ে লন্ডনে বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন না। এমনকি আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। একই বিষয় শোনা গেছে লন্ডনে বসবাসরত জোবায়দার একাধিক স্বজনের মুখেও।

এ দিকে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতা মুখ খোলেননি। লন্ডন বিএনপির নেতারাও জোবায়দার দেশে ফেরার কথা নিশ্চিত করতে পারেননি।

বিএনপির যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি এম এ মালেক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডা. জোবায়দা রহমান দেশে ফিরছেন, এমন কোনো তথ্য তার জানা নেই।

উল্লেখ্য, ডা. জোবাইদা রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার ঠিকানায় তালিকাভুক্ত ভোটার ছিলেন। এক-এগারোর পর তিনি স্বপরিবারে লন্ডনে পাড়ি জমান।

প্রসঙ্গত, জোবায়দার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলি জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সেনা-সরকারে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানি জোবায়দার চাচা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খানের চাচাতো বোন জোবায়দা চিকিৎসকদের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হন। লন্ডনের ইম্পিরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন থেকে রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদক নিয়ে এমএসসি করেছেন।