হামিদ রনি, নোয়াখালী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেবেরা আগামী ১০ ডিসেম্বর নাকি রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। ফখরুল সাহেব আমি বলতে চাই আমাদের নেতাকর্মীরা মহানগর জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায় ওই দিন পাহারায় থাকবে।
গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিআরটিসির বাস পুড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট সড়কে শেখ হাসিনার ভিত্তি প্রস্তর রাতের অন্ধকারে পুড়িয়েছে। তারা আগুন, লাঠি নিয়ে আসবে এজন্য পার্টি অফিসে সমাবেশ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, খেলা হবে স্লোগান মির্জা ফখরুলের পছন্দ না। আরও কারো কারো পছন্দ না। যে স্লোগান জনগণের পছন্দ সেই স্লোগান আমি দিয়ে যাব। খেলা হবে স্লোগান সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে।
নোয়াখালীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অস্থিত্বের জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আমি কারো অন্ধ সমর্থক নই। কাজ করে যারা, আমি তাদের পক্ষে বলি। আমি নোয়াখালীর স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে আমার ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও একরামুল করিম চৌধুরী এমপিকে ক্ষমা করে দিয়েছি। নোয়াখালীতে আমি কোনো কলহ রাখতে চাই না। আমি কলহ মুক্ত আওয়ামী লীগ চাই।
শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্কুল শিক্ষকের ছেলে ১৬ বছর ধরে মন্ত্রী। চট্রগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের মতো পার্টির সাধারণ সম্পাদক আর কেউ নাই। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার কাছে ঋণী। আমি বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার কাছে ঋণী। জেলে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছি। শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ এত উপরে উঠেছি। ১৬ বছর এদেশের মন্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য আর কারো হয়নি।
তিনি বলেন, নোয়াখালী আমার মায়ার শহর। আমার কলেজ জীবন কেটেছে এই শহরে। বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাদের ঘরে আড়াই বছর কেটেছে। তখন আইয়ুব খানের এনএসএফ দ্বারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমার গায়েও লাঠির আঘাত লেগেছে।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ. এইচ. এম. খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল-আলম হানিফ, সংসদ এইচ এম ইব্রাহিম, মোরশেদ আলম, মামুনুর রশীদ কিরণ, একরামুল করিম চৌধুরী, আয়েশা ফেরদাউস প্রমুখ।
সম্মেলনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইস্কান্দার মির্জা শামীম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নুরুল করিম জুয়েলসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড