চিকিৎসার জন্য সাজাপ্রাপ্তদের বিদেশে যাওয়া নতুন নয় : মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার একটা আইনমন্ত্রী বানিয়েছে, ঠিকমতো আইনও জানেন না, ইতিহাস জানেন না। এ বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে চিকিৎসা করতে যাওয়ার ইতিহাস নতুন নয়, উদাহরণ আছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি খালেদা জিয়াকে দেখে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসার পর সাংবাদিকদের বলেছিলাম, কত বড় অসুখ হলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জার্মানি, জাপান, লন্ডনে চিকিৎসা করতে যান। কোন অসুখ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন আমাদের বলেন।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে মান্না বলেন, আপনাদের বেলায় লীলাখেলা, যখন মনে হবে লন্ডন যাবেন, আমেরিকা যাবেন, ভারত যাবেন। অথচ বেগম জিয়ার বিষয়ে বলবেন আমরা আইনের কাছে বাঁধা। সমস্ত আইন একটার পর একটা লঙ্ঘন করেছে তারা। এখন পর্যন্ত করছে।

তিনি বলেন, আমি সত্যি সত্যি জানি না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কতখানি খারাপ। আমি যখন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করেছি, অবস্থা কী আগের চেয়ে ভালো না খারাপ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুকের মধ্যে একটা ধাক্কা খেয়েছেন। যদি ভালো হতো তিনি ভালো বলতেন, কিন্তু তিনি ভালো বলতে পারেননি।

মান্না বলেন, যদি সত্যি সত্যি খালেদা জিয়ার অবস্থা সেরকম ক্রিটিক্যাল হয়, যদি তিনি ততো বড় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, তাহলে প্রথমে সমস্ত এজেন্ডা বাদ দেন। আমাদের একটা কথা ভাবতে হবে, হয় উনি বাচঁবেন, না হয় এরা থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি তো বিএনপি করি না, কোনোদিন করবোও না। কিন্তু সবসময় বলি। কারণ এ দেশ একটা মানবিক দেশ, একটা কল্যাণরাষ্ট্র গড়বার জন্যইতো মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সে দেশে চিকিৎসার অভাবে এতো বড় একজন নেত্রী মারা যাবেন এটা চুপচাপ বসে দেখা যাবে না। সেজন্য এ লড়াই আমাদের সবার।

আরও পড়ুন : আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলছেন ফখরুল

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। দলটির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওডি/জেআই