• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুমিল্লার ঘটনায় সরকারকে দায়ী করলেন জাফরুল্লাহ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১০
ডা. জাফরুল্লাহ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (ফাইল ফটো)

কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনার সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’সহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত রয়েছে। সরকারের পায়ের নিচে এখন মাটি নেই। তাই তারা ইচ্ছে করেই ফায়দা লোটার জন্য এমন জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দিঘীরপাড়স্থ ঘটনাস্থল ভাংচুরকৃত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা দিতে না পারায় অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আগামী দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রতীমা বিসর্জনের আগেই প্রতীমাকে বিসর্জন করা চরম দুঃখজনক ঘটনা। দেশের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি। ভাটেশ্বরী থেকে চট্রগ্রাম, এরপর কুমিল্লা, সব জায়গায়ই নিরাপত্তা দিতে সরকার পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ।

পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পূজামণ্ডপে উপস্থিত হওয়ার পরেও কিভাবে মণ্ডপ ভাঙচুর হলো, শহরে হামলার ঘটনা ঘটল। এর দায় পুলিশকেও নিতে হবে। পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ ও পরবর্তীতে মণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনা সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটিয়েছে। সরকার বুঝে গেছে দেশে তাদের পায়ের তলায় কোনো মাটি নেই। এই ঘটনা সরকার অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ঘটাতে পারে।

ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জনসমক্ষে তা প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, এই ঘটনায় যাতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

গত ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে মূর্তির পায়ের ওপরে কোরআন শরিফ রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার সকালে দুজন ব্যক্তি ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে ঘটনাটি জানালে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পায়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্ওয়ারুল আজিম কোরআন শরিফটি উদ্ধার করেছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বুধবার সকাল থেকে লোকজন নানুয়ার দিঘিরপাড়ে জড়ো হয়ে মিছিল করে। তারা দুটি মণ্ডপে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

আরও পড়ুন: দাম একটু বেশি তবে খাদ্য সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী

দুপুর ১২টার পর উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। মনোহরপুরের রাজেশ্বরী কালিমন্দির, চকবাজারের মন্দিরে ভাঙচুর, ঠাকুরপাড়া বাগানবাড়ি এলাকার পূজার গেটে ভাঙচুর করে। বিকালে টমছমব্রিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঠাকুরপাড়া এলাকাতেও সংঘর্ষ হয়। বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও মিছিলের ঘটনা ঘটে।

ওডি/আজীম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড