সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: ফখরুল    

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের সামনে বড় পরীক্ষা। আজকে ভয়াবহ দখলদারি, দানবীয়, অনির্বাচিত একটা সরকার জোর করে বসে আছে। সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ বিপু মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রতিনিধি সভা উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, এ সরকার দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করছে। শুধু বিএনপি নয়, এদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করছে। আজকে শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। আওয়ামী লীগের ওপর কোনো আস্থা নেই। কারণ এরা এ দেশের মানুষের যে স্বপ্ন, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা সবগুলোকে চুরমার করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা আগের রাতে ভোট চুরি করে নিয়ে যায়, যারা ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আজকে তারা মিডিয়াকে করায়ত্ব করেছে। সাংবাদিকদের হাত-পা বাধা। সাংবাদিক কনক সারোয়ার জানের ভয়ে পালিয়ে গিয়ে আমেরিকায় একটি নিউজ পোর্টাল চালায়।

সেই অপরাধে তার অসহায় বোনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সময় আসবে। বাংলাদেশের মানুষের সর্বনাশ করার জন্য এদেরকে জনগণ একদিন বিচার করবে। এদেরকে কাঠগড়া দাঁড়াতে হবে। তারা সংবিধানকে কেটে, ছিঁড়ে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশকে একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

এখন আওয়ামী লীগ কোথায় প্রশ্ন করে তিনি বলেন, এখনতো আমলা লীগ। যেখানে যাবেন, ডিসি-এসপি-ওসি এরাই হলো বড় সাহেব। আওয়ামী লীগের চাইতে তারা অনেক বড়। তারা নিজেরাই বলে, মাছের রাজা ইলিশ-আর দেশের রাজা পুলিশ। এ যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে এজন্য শেখ হাসিনাকে-তার সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

আরও পড়ুন: বুধবার দেশের সব সোনার দোকান বন্ধ

ফখরুল বলেন, আমাদের কথা খুব স্পষ্ট, অবশ্যই এ দেশে একটা নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণ তাদের মতামত দেবেন। সেই নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যাতে জনগণ তাদের ভোট যাকে ইচ্ছা তাকে দিতে পারে।

ওডি/আজীম