নিজস্ব প্রতিবেদক
দলের নেতাকর্মীরা এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৩১ লাখ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বিএনপি। এ ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি সারাদেশে অব্যাহত আছে-থাকবে। এছাড়া ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে প্রায় ৭৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইমারজেন্সি বিভাগে প্রায় দুই হাজার পূর্ণাঙ্গ পিপিই সরবরাহ করেছে। সেসঙ্গে অনলাইনের মাধ্যমে ড্যাব সদস্যরা দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনার এ ভয়াবহ দুর্যোগেও সরকারের নিপীড়ন থেমে নেই। সরকারি ত্রাণের অনিয়ম, চাল চুরি ও করোনা নিয়ে সমালোচনা করায় এ পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গণমাধ্যমকর্মীসহ ৪১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। বেশ কয়েকজন সম্পাদক ও সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ত্রাণ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে করোনার ভয়াবহ থাবায় আক্রান্ত হচ্ছেন কারাবন্দিরাও। ইতোমধ্যে সিলেট কারাগারে একজন বন্দি করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন করাবন্দিরা। বেশ কয়েকজন কারারক্ষী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহার ও কারাবন্দি রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সব জেলায়ই ত্রাণের জন্য গরিব ও অসহায় মানুষ বিক্ষোভ করছে, সড়ক অবরোধ করছে। অন্যদিকে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না করোনা আক্রান্তরা। এমনকি অন্য রোগে আক্রান্তরাও যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিনা চিকিৎসায় পথে, ঘাটে, বাসে, ফুটপাতে এখন মরদেহ পড়ে থাকার খবর বের হচ্ছে। এটা কী নিদারুন অবস্থা। শাহবাগে লম্বা লাইন ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও করোনা টেস্ট করাতে না পেরে সড়কেই ছেলে-মেয়ের চোখের সামনে প্রাণ হারিয়েছেন বৃদ্ধ। করোনার টেস্ট করতে মানুষ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ৪২টি সেন্টারের বেশ কয়েকটি সেন্টার কার্যকর নয়। যেসব সেন্টারে টেস্ট হচ্ছে তাও অপর্যাপ্ত। মানুষ লাইন ধরে ফিরে যাচ্ছে টেস্ট না করে।’
আরও পড়ুন : আক্রান্ত ২৫ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৩৭০
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না । অভিযোগ রয়েছে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এ যদি সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী তাতো বুঝতেই পারছেন। শুধু কিটের অভাবে করোনার টেস্ট করতে পারছেন না আক্রান্ত রোগীরা। অথচ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিট অনুমোদন নিয়ে টালবাহানা চলছে।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড