• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফিরোজায় ফিরছেন খালেদা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ মার্চ ২০২০, ১৬:৫০
খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

দুর্নীতির দায়ে দীর্ঘ দুই বছর এক মাস ১৭ দিন (৭৭৬ দিন) সাজা ভোগের পর সরকারের দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি পান। দুপুর ৩টা ৫ মিনিটের দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির প্রক্রিয়া শেষে ইতোমধ্যে তিনি বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তিনি কোন বাসায় থাকবেন, সেটাও ঠিক করা আছে।

বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে সরাসরি তিনি রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় ফিরছেন। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি গাড়িতে ওঠেন। এরপর ৪টা ২৫ মিনিটে তিনি ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন।

বিএসএমএমইউর প্রিজন সেল থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে গ্রহণ করেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার রুমের ভেতরে যান ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান খান ও শামা ওবায়েদ।

আরও পড়ুন : শর্ত ভঙ্গ করলেই খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল

প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল তাকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। দীর্ঘ ৭৭৬ দিন কারাবাসের পর আবার সেই ফিরোজায় উঠতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।

দশ বছর আগে ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখে ঢাকা সেনানিবাসের মঈনুল রোডের বাসভবন ছেড়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় ওঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই বছরই গুলশান ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ‘ফিরোজা’ নামের এ বাড়িটি ভাড়া নেন খালেদা জিয়া। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের ছেলের ওই বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর সংস্কার করে ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল ভাইয়ের বাসা ছেড়ে ওই বাড়িতে ওঠেন তিনি।

২ বছর ১ মাস ১৭ দিন পর আবার সেই বাড়িতেই উঠতে যাচ্ছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এতদিন ওই বাড়িতে গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ বসবাস করেননি বলে জানিয়েছে বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি মাঝে মধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় এলে উঠতেন ওই বাড়িতে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে ৬ মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তার এ ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নড়েচড়ে বসেন। যারা এতদিন ঝিমিয়ে পড়েছিলেন, তাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আদৌ জীবিত অবস্থায় নিজ বাসায় ফিরতে পারবেন কি না এমন চিন্তায় ছিলেন তারা সবাই চাঙা হয়ে যান। শুরু হয় ধোয়া-মোছার কাজ। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ অনেকটা প্রস্তত হয়ে যায় বাড়ি।

এ ব্যাপারে চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বলেন, বাড়ি রেডি আছে। বাড়িতে ম্যাডামের সিএসএফ (চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স) সদস্য ও তার সঙ্গে যারা থাকতেন তারা আছেন।

ওডি/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড