নির্বাচন কমিশন ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে : ইশরাক

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসির এমন সিদ্ধান্তে আমি খুশি। তফসিল ঘোষণা করার সময়ই বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত ছিল।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মনোনীত এ মেয়র প্রার্থী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে শুরু করে সবার দাবির মুখে ইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা খুশি হবেন। ভবিষ্যতে যাতে এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, সেই বিষয়ে আমি জোর দেব।

তিনি বলেন, আমিও নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছিলাম। আমার দাবি ছিল, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ একদিন এগিয়ে আনা হোক বা একদিন পেছানো হোক। সরস্বতী পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। পুরান ঢাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই প্রতিনিয়ত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, ভোট পেছানোর বিষয়ে যেন আমি কথা বলি। তাদের জানিয়েছি, আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি।

এ দিন রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি নির্বাচন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা একই দিনে হওয়ায় ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : ছেলের জন্য ভোটের মাঠে নামলেন ‘মা’

সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা একদিন পিছিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পেছানোর দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ একই দাবি জানায়। নির্বাচন পেছাতে হাইকোর্টে একটি রিটও হয়। রিটটি আপিল বিভাগে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে জরুরি বৈঠকে বসে ইসি। সেখানে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ভোট পেছানোর সিদ্ধান্তটি হয়।

ওডি/টিএএফ