• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কাজ করবে না আ. লীগ’

  অধিকার ডেস্ক

১২ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:২০
নির্বাচন
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ (ছবি : সংগৃহীত)

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কোনো কাজ করবে না আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আমরা একটা মহল্লায় গিয়ে ঘরের মধ্যে সভা করতে পারব। সেগুলোতে কোনো বাধা নেই।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুন্দর, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। যেহেতু আমরা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, এমন কোনো কাজ করব না যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, আচরণ বিধিতে বলা আছে- সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এই যে সুবিধাভোগী এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-এমপিরা কিন্তু সুবিধাভোগী না। আমিও ব্যক্তিগতভাবে সুবিধাভোগী না।

তিনি বলেন, শেখ সেলিম সাবেক মন্ত্রী, মাহবুব-উল আলম এরা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আব্বাস, গয়েশ্বর সাবেক মন্ত্রী। এরা প্রত্যেকেই কিন্তু মন্ত্রী ছিলেন। তারাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। মওদুদ তো একসময় প্রধানমন্ত্রী, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

তোফায়েল বলেন, আচরণ বিধির যে ব্যাখ্যা, এই ব্যাখ্যার মধ্যে স্ববিরোধিতা আছে। আমাদের ব্যাখ্যায় ইসি একমত হয়েছে। কিন্তু তারা বলেছে, আমাদের কিছু করার নেই। এখন যদি কিছু করি (বিধি সংশোধন) মানুষের চোখে সরকারের জন্য ভালো হবে না। আমাদের চোখেও এটা ভালো হবে না।

তিনি বলেন, সুবিধাভোগী বলতে বোঝায় অফিস অব প্রফিট। আমরা এমপিরা তা পাই না। মন্ত্রীরা পায়। হুইপরা পান। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার তারা তো পানই। এটাকে কমিশন পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমরাও বলেছি, ঠিক আছে, এটা পরিবর্তন করতে বলব না। আমরাও মেনে নিয়েছি। কিন্তু মাহবুব তালুকদার সেদিন যে কথা বলেছেন, তিনি আজকেও বলেছেন, তাদের ভেতরের কথা, ওই যে একটা কথা বলেছেন, সেটা হলো-আমি আমার ঘরে, অফিসে বসেও নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। বৈঠকে তিনি (মাহবুব তালুকদার) ছাড়া সবাই একমত হয়েছেন যে, এটা বাস্তব সম্মত না।

আরও পড়ুন : ভুয়া সঞ্চয়পত্রে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, দম্পতি গ্রেফতার

তোফায়েল আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষে আমরা আগামী এক বছর কর্মসূচি নিতে পারব। কিন্তু আমাদের মতো যারা এমপি, তারা যেন ভোট না চায়। আমার সঙ্গে যে এমপি নয়, সে কিন্তু ভোট চাইতে পারবে। এজন্য আমাদের আলোচনা খুব পরিষ্কার হয়েছে। খুব ফলপ্রসূ হয়েছে।

উল্লেখ্য আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড