• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

২ সিটিতে বিতর্কিত যত প্রার্থী

  মনিরুল ইসলাম মনি

০৬ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৩৮
বিতর্কিত প্রার্থী
ঢাকার দুই সিটিতে মনোনয়ন পাওয়া বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা (ছবি : সম্পাদিত)

এক সময়ের তিলোত্তমা নগরী, বর্তমানে রাজধানী ঢাকার সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদটি যেন কারও কারও কাছে জাদুর কাঠি। এই জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় তারা ধরাকে করেছেন সরা। ঢাকার দুই সিটির এমন ১১ জন বিতর্কিত কাউন্সিলরের নাম উঠে এসেছে দৈনিক অধিকারের অনুসন্ধানে। যারা আগের মেয়াদে কাউন্সিলর হয়ে অনিয়মের চূড়ায় উঠে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

ঢাকা ও উত্তর দক্ষিণে কাউন্সিলর পদে নিজ দলের সমর্থন পাওয়া বিতর্কিত এই ১১ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নেতা। এদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে আবার ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে চাঁদাবাজি, ভূমিদখলেরও। এত এত অভিযোগ থাকার পরও এরা আবারও পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন।

অনুসন্ধান বলছে, গত পাঁচ বছরের মেয়াদে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুরুতর নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল ঢাকার দুই সিটির ১১ জন কাউন্সিলর। এদের মধ্যে উত্তরে পাঁচজন আর দক্ষিণে ছয়জন রয়েছেন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে মিলেছে এর সত্যতা। তাদের নাম বলতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। নাগরিক সুবিধার বদলে মিলেছে দুর্ভোগ। স্থানীয়রা জানায়, এসব কাউন্সিলরা এলাকার উন্নয়ন না, করেছেন নিজের পকেটের উন্নয়ন।

ভোটের মাঠে এর প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছে। অধিকাংশই দৈনিক অধিকারকে জানিয়েছেন, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নানা উন্নয়ন দৃশ্যমান থাকলেও, শুধু তাদের ওয়ার্ডই বঞ্চিত হয়েছে উন্নয়ন থেকে। উল্টো তারা পেয়েছেন মশার কামড়, জলাবদ্ধতা, রাস্তায় খানাখন্দসহ নাগরিক নানা সমস্যা। তারা এমন জনপ্রতিনিধি চান না বলেও জানান। ক্ষমতাসীন দল তাদের মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এসব কাউন্সিলরের অপকর্মের কারণে স্থানীয়ভাবেও তারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। ক্ষুণ্ণ করেছেন সরকারের ভাবমূর্তিও। এরপরও তারা পেয়েছেন সরকারদলীয় মনোনয়ন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে পেয়েছেন মনোনয়নের বৈধতাও।

জানা গেছে, এবারে ঢাকার দুই সিটিতে কাউন্সিলর পদে বিতর্কিত প্রার্থীর সংখ্যা ১৯ জন। এদের ৯ জন পাননি দলীয় মনোনয়ন। আর একজন আগেই কাউন্সিলর থেকে পদচ্যুত হয়েছেন। বাকি ১০ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮ জন আর শরিকদল জাতীয় পার্টি ও বিদ্রোহী একজন করে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন :

ঢাকা উত্তরের বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন— ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৬ নম্বরের রজ্জব হোসেন, ৭ নম্বরের মোবাশ্বের চৌধুরী, ১২ নম্বরে ইকবাল হোসেন তিতু, ৩০ নম্বরের আবুল হাসেম হাসু, ৩১ নম্বরের শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ৩২ নম্বরের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, ৩৩ নম্বরের তারেকুজ্জামান রাজীব ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম।

এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জোটেনি— ৬ নম্বরের রজ্জব হোসেন, ৭ নম্বরের মোবাশ্বের চৌধুরী, ৩২ নম্বরের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, ৩৩ নম্বরের তারেকুজ্জামান রাজীব ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈমের।

আর বিতর্কিত হয়েও মনোনয়ন নামের সোনার হরিণটি ছিনিয়ে নিয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ১২ নম্বরে ইকবাল হোসেন তিতু, ৩০ নম্বরের আবুল হাসেম হাসু। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম সেন্টু। আর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আনিসুর রহমান নাঈম।

বিতর্কিতদের মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা। তবে এই প্রার্থীর ইমেজ কিছুটা ভালো থাকলেও তিনি বিতর্কিত হয়েছেন তার ছেলে এবং ছেলের বউয়ের কারণে। জামাল মোস্তফার ছেলে রফিকুল ইসলাম রুবেল ও তার স্ত্রী তানজিলা ঢাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসন বলছে, রুবেল ঢাকার শীর্ষ ৪৫ ইয়াবা গডফাদারদের মধ্যে একজন। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ১১৫ পিছ ইয়াবাসহ পল্লবী থানা পুলিশের হাতে স্ত্রীসহ গ্রেফতার হয় রুবেল।

ইকবাল হোসেন তিতু ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম ঘোষণায় দলীয় মনোনয়ন না পেলেও একদিন পরেই তা সংশোধন হয়ে পান দলীয় মনোনয়ন। গত মেয়াদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই ইকবাল হোসেন তিতুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, ফুটপাত ও রাস্তা, অন্যের জমি দখল আর ডিশ নৈরাজ্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ভোটে জিতেই তিনি ছোট ভাই লিটু ও কিছু অনুসারী নিয়ে এলাকায় নিজের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। নির্বাচিত হওয়ার অনেক আগেই মিরপুর ১ নম্বরে সনি সিনেমা হলের উল্টো পাশে সরকারের জমি দখল করে স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেট বানিয়ে এলাকায় আলোচনায় আসেন তিনি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির এমন আগ্রাসী মনোভাব আর অনাচারে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে আবুল হাসেম হাসুর। যাকে রাজধানীর আদাবর-শ্যামলির বাসিন্দারা ‘দখলদার’ হিসেবে চিনে। যিনি তার ভাই কাসুকে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন দখলদার বাহিনী ‘হাসু-কাসু’। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয় বিপুল পরিমাণ জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।

অথচ এসব অপকর্মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। হাসুর বিরুদ্ধে আদাবর থানা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রিয়াজ মাহমুদকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার একটি মামলাও হয়েছে।

দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম। তার বিরুদ্ধে জমিদখল, চোরাকারবার, চাঁদাবাজিসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। বিমানবন্দর, কাওলা, শিয়ালডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজির জন্য রয়েছে ‘নাঈম খলিফা’ নামে তার নিজস্ব বাহিনী। স্থানীয়রা নাঈমকে চেনেন ‘ত্রাস নাঈম’ নামে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসা আরেক বিতর্কিত কাউন্সিলর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম সেন্টু। যিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। এবারও তিনি পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন।

অতি ক্ষমতাধর এই কাউন্সিলর প্রার্থী কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো চালুর সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পর তিনি সিঙ্গাপুর চলে যান। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে আবার লোকালয়ে ফেরেন বিতর্কিত এই কাউন্সিলর।

২০১৬ সালে প্রথম ক্যাসিনোর অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো চালু করলে পরের বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলাবাগান ক্রীড়া সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজ ক্যাসিনোটি বন্ধ করে দেন।

২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কোনো উন্নয়নমূলক কাজের নজির নেই এই কাউন্সিলরের। ছিলেন না কোনো দখলমুক্ত উচ্ছেদ অভিযানে; উল্টো নিজে দখল করেছেন অনেক স্থাপনা। শুধু তাই নয় উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ছিলেন সেন্টু। তিনি ১২টি সভার একটিতেও উপস্থিত ছিলেন না।

শফিকুল ইসলাম সেন্টুর বিরুদ্ধে স্থানীয় সন্ত্রাসীর লালন করার অভিযোগও রয়েছে। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় দখল এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার নিজস্ব বাহিনীর বিরুদ্ধে।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে জমি, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, মার্কেট দখল, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ মেলার কথা জানায় দুদক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন :

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু ইস্যুতে সমালোচিত ও বিতর্কিত মেয়র সাঈদ খোকন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেলেও কাউন্সিলরদের মধ্যে বিতর্কিত ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। বিতর্কের কারণে প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জনপ্রিয়তা হারিয়েও মনোনয়ন পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন—২ নম্বর ওয়ার্ডের আনিসুর রহমান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রাফুজ্জামান, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন আহমদ রতন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাসান (পিল্লু), ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে নূরে আলম ও ৫৬ নম্বরে মোহাম্মদ হোসেন।

মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার পরও ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আবারও লড়ছেন আনিসুর রহমান। জনশ্রুতি আছে, ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভুঁইয়ার নানা অপকর্মের সঙ্গে সে জড়িত।

আরামবাগ ও সবুজবাগ এলাকার ক্যাসিনো ও জুয়ার আড্ডার নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে অন্যতম ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রাফুজ্জামান। স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ অবমাননার কারণে কাউন্সিলর পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া মমিনুল হক সাঈদের সঙ্গেও রয়েছে তার ঘনিষ্ঠতা। এ ছাড়া ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও পাওয়া গেছে। নানা বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও আবারও পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

২০ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন ফরিদ উদ্দিন আহমদ রতন। তার বিরুদ্ধে গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। রতনসহ ক্লাবটির একাধিক নিয়ন্ত্রক রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। শুদ্ধি অভিযানকালে ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ক্লাবটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে করপোরেশনের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটসহ আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মো. হাসান (পিল্লু)। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগিনা। ওয়ার্ডের আওতাধীন এসব এলাকার মালবাহী যানবাহন থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাগিনা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না কেউ।

কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নূরে আলম নানা ভাবে বিতর্কিত। করপোরেশনের কাজ উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে স্থানীয়দের থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর তাতে ৮০ শতাংশ জনপ্রিয়তা খুইয়ে বসে আছেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি স্যুয়ারেজ পাইপ বসাতে গিয়ে বাড়ি প্রতি আড়াই থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত করে চাঁদা আদায় করেছেন তিনি। নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে মাসে ১ লাখ টাকা মাসোয়ারা পান বলেও জানা যায়। এ ছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় এক সাংবাদিকের জমিতে স্যুয়ারেজ পাইপ বসানো নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। নূরে আলম জোরপূর্বক ওই সাংবাদিকের জমিতে স্যুয়ারেজ পাইপ বসানোর চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এত কিছুর পরেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

ক্ষমতাসীন দলের হয়ে এবার দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেলেন ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন। ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে প্রতি মাসে চাঁদা তোলেন ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া খোলামোড়া নৌকা ঘাট, টেম্পুসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা আদায়ের বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। কামরাঙ্গীরচরের খাল দখল করে স্থাপনা তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই কাউন্সিলরের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

ওডি/এমআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড