জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অলিখিত ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের এ দিনে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিলাম। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এ যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় আজ স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রহীন হয়ে পড়েছে। এই দেশে আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গণতান্ত্রিক অধিকারসহ মানুষের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘আ. লীগের আগে শ্রদ্ধা জানানোর সাহস কে দিয়েছে’

মির্জা ফখরুল বলেন, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, তাকে আটক করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন। জনগণের ভোটে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। দুবার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আজকের এই দিনে শপথ গ্রহণ করছি স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে খালেদা জিয়াসহ গণতন্ত্র মুক্ত করা হবে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়া সালাউদ্দিন বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

ওডি/এসজেএ