অধিকার ডেস্ক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস (সম্মেলন) আগামীকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কংগ্রেস উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা অনিয়মের কারণে সমালোচিত সংগঠনটিকে এই কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে পরিচ্ছন্ন ও বিতর্কমুক্ত নেতৃত্ব দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে।
যুবলীগের কংগ্রেস নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলছেন, আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে চেয়ারম্যান এবং যুবলীগের বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্য থেকে একজনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হতে পারে এই কংগ্রেসে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরশ চেয়ারম্যান হচ্ছেন, এটা মোটামুটি চূড়ান্তই বলা চলে। সাধারণ সম্পাদকের বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে যুবলীগের কংগ্রেস প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম বলেন, কংগ্রেসের জন্য মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে পদ্মা নদীর ওপর নিমার্ণাধীন পদ্মা সেতুর আদলে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতীকী পদ্মা সেতুর ওপর বসে কংগ্রেসের প্রথম পর্ব উপভোগ করবেন। দ্বিতীয় পর্ব বিকাল ৩টায় শুরু হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। এ পর্বেই সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সংগঠনের ৬টি কেন্দ্রীয় কমিটি হয়েছে বলে জানান যুবলীগের নেতারা। তারা জানান, এর মধ্যে ৪টিতে চেয়ারম্যান ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার নিকটাত্মীয়রা। তাই যুবলীগের প্রতিটি সম্মেলনেই ওই পরিবারের কেউ না কেউ আলোচনায় থাকেন। এবার আলোচনায় আছেন শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শেখ পরশ। রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। পরশের পাশপাশি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিমের দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাইমও শীর্ষ পদে আসার চেষ্টা করছেন। তবে শেখ হাসিনা তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন : আ. লীগের কাউন্সিলে স্বাধীনতাবিরোধীরা আমন্ত্রণ পাবেন না
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের শুরুতেই গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এর পর একই কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সহসভাপতি এনামুল হক আরমান গ্রেপ্তার হন। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে বাদ দিয়েই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। একাধিক নেতা সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন। যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, কংগ্রেসে কাউন্সিলর, ডেলিগেট, অতিথিসহ প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকতে পারেন। যুবলীগের সর্বশেষ কংগ্রেস হয় ২০১২ সালের জুলাইয়ের ১৪ তারিখে। তিন বছর মেয়াদি এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছর আগে।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড