• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিএনপি ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি : তথ্যমন্ত্রী 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৪
তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। (ছবি : সংগৃহীত)

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যে এখনো ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তা বোঝাতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই তারা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করেননি।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ‘প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির পত্র’ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া হয়েছে, যেটা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গ্রহণ করেছেন। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন। সেখানে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নেই। একটি শব্দও নেই তার সম্পর্কে। সেখান থেকে প্রশ্ন জাগে, বিএনপি বেগম জিয়ার মুক্তি চায় কি না। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে কথা বলে, সেগুলো নিছকই জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়।

চিঠির ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, তারা যে চিঠি দিয়েছে, সেটা হলো সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন, সেখানে যে চুক্তিগুলো হয়েছিল সে বিষয় নিয়ে। তাদের ভাষ্য, সে সফরে নতুন কোনো চুক্তি হয়নি। ভারতে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো হলো এমওইউ। অথচ, বিএনপির মতো একটি দল চুক্তি ও এমওইউর পার্থক্য বুঝতে পারেনি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

মন্ত্রী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো সফর শেষে ফিরে প্রধানমন্ত্রী তা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবেন। বরাবরের মতো ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী তা করেছেন। এমনকি, তিনি সংবাদ সম্মেলন করেও ভারত সফরের বিস্তারিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে বলেছেন, সংসদে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন। কিন্তু, বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এসব কাজ প্রধানমন্ত্রী করেননি। বিএনপির চিঠি অন্তঃসারশূন্য। এই চিঠি দেওয়া রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া আর কিছু না। পাশাপাশি, তারা ভারতবিরোধিতা থেকে বেরিয়ে আসেনি, সেটা বোঝানোর জন্য এই চিঠি দিয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফেনী নদীর পানির প্রবাহ হচ্ছে আটশ কিউসেক। এর মধ্যে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক তারা খাবার পানি হিসেবে নেবে, যা চারশ ভাগের এক ভাগ। সে পানি তারা এখনো নিচ্ছে। সেটাকে আমরা একটি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসতে চাচ্ছি।

সমঝোতা স্মারকের ব্যাপারে তিনি বলেন, এলপিজি গ্যাস আমরা দেশে উৎপাদন করি না, আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই এলপিজি গ্যাস ভ্যালুঅ্যাড করে ভারতে রপ্তানির জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এটি অর্থনীতির জন্য সহায়ক। অথচ, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এসব কথা ছড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য চুক্তি অনেক আগেই হয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে এসওপি হয়েছে। এই দুটি বন্দর তারা ব্যবহার করলে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আমাদের রেভিনিউ বাড়বে। সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র আছে যারা অন্য দেশকে বন্দর ব্যবহার করতে দিচ্ছে। ফলে তারা অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আরেকটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে, সেটা হলো বঙ্গোপসাগরে রাডার স্থাপন নিয়ে। আপনারা জানেন, আমাদের কোস্টগার্ডের পর্যাপ্ত রাডার নেই। সেখানে ভারত রাডার স্থাপন করবে না। আমরা তাদের সহায়তায় রাডার স্থাপন করব ও দেখাশোনা করব। সব কিছু আমাদের মালিকানায় হবে। এতে আমাদের কোস্টগার্ড সমৃদ্ধ হবে। এখানে ভারত শুধু রাডার কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে। তাই বলা যায়, বিএনপি চুক্তি ও এমওইউর পার্থক্য বোঝে না।

ওডি/এসএইচএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড