• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘ভোটবিহীন নির্বাচন হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও হয়’

  অধিকার ডেস্ক

১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৪
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভোট ছাড়া নির্বাচন হয়ে সংসদ গঠন সম্ভব হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সিন্ডিকেটের কারসাজি। বর্তমানে পেঁয়াজের অভাবের চেয়ে পেঁয়াজের সংকটের প্রচার সিন্ডিকেটকে আরও বেশি সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ কোনো জিনিসের অভাব হলে তার দাম এমনিতেই বেড়ে যায়।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার স্মরণে এ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।

এ সময় দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির তালিকার মতো করে তাদের নাম বলতে হয়। পত্রিকায় তাদের নাম-ছবি না এলে ক্ষুব্ধ হন। পত্রিকায় নাম না এলে কি আন্দোলন হয় না? এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অনলাইন পত্রিকা, এত টেলিভিশন এবং ফেসবুক ছিল না। তাহলে সেই সময় কি আন্দোলন হয়নি? সুতরাং পত্রিকায় নাম ও ছবি আসা, নিজেকে জাহির করার মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে আমাদের।

বর্তমান সময়ে বিএনপির আন্দোলন দুই ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, একটি প্রেস ক্লাবকেন্দ্রিক আন্দোলন বা সংবাদ সম্মেলন এবং আরেকটি বিএনপির কার্যালয়কেন্দ্রিক আন্দোলন। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি হয়ে উঠেছে আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি। আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি করে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারচেয়ে আক্রমণাত্মক রাজনীতি করলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সরকারের ইচ্ছা ছাড়া আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি অর্জন করতে হবে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আন্দোলন করে শেখ সাহেবকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) মুক্ত করতে না পারলে তার ফাঁসি হয়ে যেত। জনগণের আন্দোলনের ফলেই তিনি মুক্ত হয়ে আসেন এবং সেসব মামলাও কোথায় গিয়েছে তার কোনো হদিস নেই ।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটের আগে বিএনপি সাত দফা দিয়েছিল। এক দফা দাবি দিয়ে যদি খালেদার মুক্তি চাইতাম, তাহলে খালেদার মুক্তি না হয়ে যেত না। তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল যে এমন হবে এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো আমাদের দাওয়াত দেননি। ড. কামাল হোসেন দাওয়াত চেয়েছেন। চেয়ে দাওয়াত নিলে সেখানে অতিথি আপ্যায়নও তেমনি হয়।

বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রসঙ্গে দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সাদেক হোসেন খোকা একজন আপস

আপসহীন নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বিএনপি নেতাকর্মী না হয়েও অনেকেই তার কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সাদেক হোসেন খোকা ঢাকার অনেক রাস্তার নামকরণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে ঢাকার রাস্তার কোনো নামকরণ করা হয়নি। তিনি হলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন জিয়াউর রহমান নামেতো বিমানবন্দর আছেই। তাই নতুন করে তার নামে আর কোনো রাস্তার নামকরণ করা হয়নি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেসারুল হক, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্মআহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, তেজগাঁও থানা বিএনপির সহসভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

ওডি/এএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড