• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দেশময় চলছে শকুনের উল্লাস!

  এ বি এস ফরহাদ

১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪০
প্রতীকী
ছবি : প্রতীকী

বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল ১৬ ডিসেম্বর। ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান শেষে দীর্ঘ ৯ মাস মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান বিজয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে এ বিজয় সবসময় রোমাঞ্চকর। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিজয়কে ধারণ করতে চায় তারা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা জানাচ্ছেন এ বি এস ফরহাদ।

দেশময় চলছে শকুনের উল্লাস! সুমাইয়া আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘বিজয় দিবস বাংলার মানুষের কাছে গর্বের, আনন্দের। লাখ লাখ শহীদ, বীরাঙ্গনাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এ বিজয়। কিন্তু দীর্ঘসময় পরও আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা পাইনি। দেশময় চলছে শকুনের উল্লাস! বিফলে যেতে বসেছে স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। স্বাধীনতার নামে সবাই আজ রাজনীতি করছে। কিন্তু এ বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা নামক পূর্ণ গণতন্ত্র। এ বিজয়ের মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া চাই দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য নিজেকে তৈরি করা। তবেই আমাদের সত্যিকারের বিজয় হবে। দেশের কাছ থেকে কী পেলাম সেটা না ভেবে, দেশকে আমরা কী দিলাম সেটা ভাবতে হবে।’

স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করা মহান ও পবিত্র দায়িত্ব মো. আশিকুর রহমান (সৈকত), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

‘যে বিজয়ের জন্য সাত কোটি বাঙালিকে বেছে নিতে হয়েছিল সংগ্রামের পথ, যে লাল-সবুজ পতাকা অর্জিত হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, যে মানচিত্রের জন্য দুই লাখ মা-বোনকে দিতে হয়েছে সম্ভ্রম, তার মর্যাদা রক্ষা করা মহান ও পবিত্র দায়িত্বে তরুণদের। সেই সঙ্গে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া- যেখানে থাকবে না ক্ষুধা, দরিদ্রতা, দুর্নীতি ও দুঃশাসন। প্রতিদিনের সংবাদ যখন হয় দুঃসংবাদে ভরা তখন আমাদেরই তারুণ্যের শক্তি নিয়ে আসে সুসংবাদের পসরা, লাল-সবুজের বিজয় কেতন উড়ায় লর্ডসের ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে এভারেস্টের চূড়ায়। হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি তাই এখন মেধাবী উদ্যমী তরুণদের কারখানা। আঙ্কেল স্যামের দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ অনেক ভ্যালুর ব্যান্ড।’

আমরা স্বাধীন হয়েও স্বাধীনতা পাইনি শাফিউল কায়েস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‘প্রথমে বিজয়ের মাসে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে, যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের দেশ, প্রিয় মাতৃভূমি। একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফসল এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অপ্রিয় হলেও সত্য, আমরা স্বাধীন হয়েও স্বাধীনতা পাইনি। দেশ আজ দুর্নীতি, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, খুন, বর্বরতায় ডুবে আছে। একটা সময় ছিল যখন বিজয় দিবস বলতে ঈদ কিংবা পূজার মতোই উৎসব বোঝাত। বর্তমানে ১৬ ডিসেম্বর অনেকটা মেকি উদযাপনের মতো, যা দিনে দিনে হারাচ্ছে বিজয় মাসের নিজস্বতা। আমরা নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা দেখে, ইতিহাস পড়ে এবং দাদা-বাবার মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়ানক মুহূর্তের গল্প শুনেছি। তবে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চাপা পড়ছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালো করে জানে না। দুঃখের বিষয় অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা তাদের ঠকিয়েছি। তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই। ন্যূনতম সম্মানও দিতে জানি না আমরা। আমাদের সকলের উচিত সোনার দেশ বিনির্মাণের নায়কদের সম্মান এবং তাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা।’

তরুণ প্রজন্মকে বিজয় ধারণ করতে হবে আবু বক্কর সিদ্দিক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

‘বিজয় দিবস নিয়ে যদি বলি তাহলে প্রথমে ১৯৭১ সালে মহান বিজয় সাধিত করতে বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের কথা আসবে। কিন্তু সে আত্মত্যাগ আমরা তরুণ সমাজ কতটা ধারণ করি? বাংলায় আজো দেশদ্রোহীদের বিচার করলে প্রতিবাদ করা হয়। এ দেশের মানুষ আজও নিজেদের স্বাধীন ভাবতে পারে না। বিজয়কে তারা ব্যবহার করতে পারেনি। আজও বিদেশি দালালদের হাতে বন্দি আমরা। বিজয় তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে। তবেই এদেশের মানুষ স্বাধীন হতে পারবে। তবেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তরুণেরা এগিয়ে এলে এদেশের উন্নয়ন সম্ভব আজকের এ বিজয় দিবসে এটাই আমার চাওয়া।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড