• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দুষ্প্রাপ্যতাই হোক প্রাচুর্যতায় রূপান্তর

  আনোয়ার হোসেন ফরহাদ

০৮ আগস্ট ২০১৯, ১৭:১৪
ঈদুল আজহা
ছবি : প্রতীকী (ইনসেটে লেখক আনোয়ার হোসেন ফরহাদ)

প্রতিবছর ঈদুল আজহা আসলেই ভারতীয় গরু প্রসঙ্গটা অনেক আলোচনায় আসে। নানা ধরনের গুজবও ছড়ানো হয়। এই ধরুন, গরুকে ইঞ্জেকশন দিয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে, এই মাংস খেলে নানাবিধ রোগ হতে পারে, তারা রোগা গরুগুলো আমাদের দেশে রপ্তানি করে, তাজাগুলোর পূজো করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আবার মোদি সরকারের আমলে গো-মাতা কেন্দ্রীক আলোচনা তো আছেই। গরুকে যারা মাতা ভেবে পূজো করে, যাদের দেশে কেউ গরু জবাই করলে তাকে প্রকাশ্য গনপিটুনি দিয়ে মারা হয় সেদেশে তাদের মাতৃতুল্য গরু অন্যদেশে বিক্রি করে দেওয়া তো অবশ্যই মহাপাপ।

এ দিকে, ভারত ধর্মীয় চেতনায় গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিতে চাওয়া সত্ত্বেও তাদেরই কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী অসাধু উপায়ে মাতাকে রপ্তানি করেই যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও সরকারি অনুমোদন ছাড়া শুধু নিষিদ্ধ উপায়ে বাংলাদেশের কুরবানির গরুর চাহিদা ১০০ শতাংশ মেটানো কোনোভাবেই সম্ভব না। ভারত গরু রপ্তানি কর‍তে চায় না, তবুও তাদের রয়েছে অসাধু উপায়ের বিড়ম্বনা।

অন্যদিকে বাংলাদেশেরও গরুর চাহিদা মেটানো দরকার। দেশীয় গরুর উৎপাদনও কম। মহা মুশকিল, কী করে মিলবে এর সমাধান? তবে, আমার মতে বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্টপোষকতায়ই এর সমাধান রয়েছে। সরকার গরুর চাহিদা মেটাতে দেশীয়ভাবে গরু উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্প হাতে নিতে পারে। প্রয়োজনে এর বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করতে পারে।

সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে যেমন মিটবে গরুর চাহিদা তেমনই হবে কর্মসংস্থান যা আমাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা বেকারত্ব লাগবেও ভূমিকা পালন করবে। বেকার যুবকরা গরুর খামারের প্রতি মনোযোগী হবে। পাশাপাশি আমাদের অর্থনৈতিক মানদণ্ড বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, দৈনন্দিন জীবনে মাংসের চাহিদাও হাতের মুঠোয় চলে আসবে। কমবে মাংসের দামও। আরেকটা কথা, এ উপায়ে ভারতও বরং স্বস্তি পাবে। তাদের মাতাকে আর বিসর্জন দিতে হবে না। সুতরাং তারাও খুশি আমরাও স্বাবলম্বী। বিষয়টা অনেকটা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার ন্যায়।

লেখক : শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড