• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর, সচেতন হোন আজই!

  মতামত ডেস্ক

০৬ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫৫
ডেঙ্গু
ছবি : প্রতীকী

গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের যে পরিবর্তন হয় তাতেও গর্ভবতী নারীরা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

সকল প্রকার চিকিৎসাপদ্ধতি এ সময়ে প্রয়োগ করা যায় না বলে রোগের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়। গতবছর থেকে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও এবছর তা ভয়াবহরূপ ধারন করেছে।

২০০২ সালে ডেঙ্গুর যে ধরণটি (DEN 3) অন্য ধরণ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, ১৭ বছর পর তা আবার আবির্ভূত হয়েছে। ফলে ডেঙ্গু জ্বরে বহু লোক তো আক্রান্ত হচ্ছেই, উপরন্তু বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ সময়ে গর্ভবতীরা সবচেয়ে বেশী (ভুলনারেবল) Vulnerable অবস্থায় থাকেন। গর্ভস্থ শিশুরাও বিপদমুক্ত নয়।

ডেঙ্গু রোগ গর্ভাবস্থায় ভয়াবহ কেন?

● ডেঙ্গু জ্বরের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রচণ্ড বমি, যা Hyperemesis gravidarum (গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি) এর সাথে ধন্দ তৈরী করতে পারে যাতে রোগ নির্ণয় বিলম্বিত হতে পারে।

● গর্ভাবস্থায় কিছু শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের ফলে হিমোডিলুয়েশন (Hemodilution) হয়ে ডেঙ্গুর অনুষঙ্গী Platelet count কমে যাওয়া বা HCT বেড়ে যাওয়াকে প্রচ্ছন্ন করে রেখে ডেঙ্গু নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ফলে দেরীতে রোগ শনাক্ত হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।

● গর্ভাবস্তায় রোগের ক্লিনিক্যাল রূপ পরিবর্তিত হওয়ায় রোগীদের হেমোরেজিক হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

● ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে যাওয়ার পাশাপাশি লিভার এনযাইম (ALT) বেড়ে যায়, যা গর্ভাবস্থার ভয়াবহ জটিলতার মধ্যে অন্যতম HELLP (Hemolysis Elevated liver enzymes low platelet) syndrome এও হয়। দুটি রোগের এই ওভারল্যাপিং বৈশিষ্ট্য ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। তাই রোগ নির্ণয় করা জটিল হয়ে পড়ে।

করণীয় কী?

গর্ভাবস্থায় জ্বর মানেই সংকটপূর্ণ অবস্থা, তাই জ্বরের মাত্রা যাই হোক না কেন বাসায় বসে না থেকে অতিস্বত্তর হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

ডেঙ্গু কি মা থেকে গর্ভস্থ শিশুর দেহে যেতে পারে?

অল্প কিছু গবেষনা হয়েছে যেখানে কর্ড ব্লাড ও মায়ের বুকের দুধে এ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এ ভাইরাস প্লাসেন্টা ক্রস করতে পারে। প্রসবকালীন সময়েও বাচ্চা মা থেকে আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তাই নয় বুকের দুধের মাধ্যমেও ছড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

তাই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত মায়ের সন্তান হওয়ার সাথে সাথে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখুন।

লেখক- ডা. নুসরাত সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক, ভাইরোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ডিএমসি কে ৫১।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড