মোহাম্মদ রাজিব হাসান
অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ
পরিবেশ (প্রকৃতি) এবং অর্থনীতি এক সূত্রে গাঁথা। প্রকৃতির সাথে অর্থনীতির গভীর যোগসূত্র রয়েছে। অর্থনীতিতে উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহের অন্যতম উপকরণ ভূমি।
ভূমি বলতে প্রকৃতি মানুষকে অকৃপণভাবে যে সমস্ত উপাদান যেমন জল, স্থল, আলো-বায়ু, খনিজ সম্পদ, পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, ইত্যাদি বিনামূল্যে দান করেছে সেগুলোরই সমষ্টি। উৎপাদনের প্রতিটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রাকৃতিক উপাদান ভূমির গুরুত্ব অপরিসীম।
কৃষি ও শিল্পসহ যে কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজন প্রকৃতির সহায়তা। কারণ প্রকৃতি থেকেই আমরা সবধরনের কাঁচামাল পেয়ে থাকি। প্রাকৃতিক পরিবেশ শুধুমাত্র উৎপাদনের উপকরণই সরবরাহ করে তা নয় উপরন্তু মানুষের উৎপাদিত বর্জ্যের ভোক্তা হিসেবেও কাজ করে। বিভিন্ন কল-কারখানার উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থ প্রকৃতি শোষণ করে পরিবেশকে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত রাখে। তাই প্রকৃতির সাথে মানবীয় আচরণ একান্ত জরুরী।
মানুষের জীবনধারণের জন্য এবং সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রকৃতিকে প্রয়োজন। কিন্তু যখন লাগামহীনভাবে প্রকৃতিকে শোষণ করা হয় তখন প্রকৃতি নিজেই নিজের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ক্ষত উপশম করার ব্যবস্থা করে। উদাহরণস্বরূপ বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে জান-মালের ক্ষতি অপরিসীম। পাশাপাশি বিগত প্রায় দুই মাসের লকডাউনে প্রাক্কলিত প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে যে পরোক্ষভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের যে উন্নতি সাধিত হবে তার অর্থনৈতিক মূল্যও কম নয়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব আশা করা যায় খুব দ্রুতই মানুষ করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সক্ষম হবে। যতদিন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হচ্ছে ততদিন করোনা থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি আর করোনা থেকে কি শিক্ষা নেওয়া যায়? প্রথমত, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। এটা সর্বজনস্বীকৃত যে করোনা থেকে বেঁচে থাকার আপাতত সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
শুধু কি করোনা থেকে বাঁচার জন্যই আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন? না, দৈনন্দিন জীবনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ভূমিকা অপরিসীম। আমি কারও আপন হতে পারি কিন্তু আমার রোগ-জীবাণু তো কারও আপন নয়!
সেজন্য কি শুধু নিজে পরিষ্কার থাকলেই হবে? না, তাও হবে না। নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি আমাদের চারপাশেরটাও নিশ্চিত করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। পরিবারের সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করতে হবে পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরকে সচেতন হতে হবে। এরপর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, হাট-বাজার, হোটেল-রেস্তোরা, নগর-বন্দর, সব জায়গাতেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।
স্কুল-কলেজে শিক্ষক অভিভাবক মিটিং-এ এবিষয়ে আলোচনা হতে পারে এবং শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। পাশাপাশি পরিবারেও যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার চর্চা বজায় রয়েছে সে বিষয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের তদারকি করতে পারেন। স্কুল-কলেজে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ন্যাপকিন, টিস্যু, ইত্যাদির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে ওগুলো পরিবার থেকে সরবরাহ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিজ দায়িত্বে এটা নিশ্চিত করতে হবে।
অফিস আদালতে চাকরিজীবীদের নিজ দায়িত্বে তাদের চারপাশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহন বা সেবা প্রতিষ্ঠানে (ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ইত্যাদিতে) নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে ভ্রমণ এবং সেবা গ্রহণ করতে হবে। হাট-বাজার এবং হোটেল-রেস্তোরাতেও একইভাবে সেবা গ্রহণ ও প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো শুধু নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখায় সহায়তা করবে। শুধু কি নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেই চলবে? না, আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশকেও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ময়লা-আবর্জনা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। চিপসের প্যাকেট, বাদামের খোসা, কলার খোসা, সবজির খোসা, থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি-কলকারখানার আবর্জনা নিয়ম মেনে অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহার এবং প্রকৃতিকে বিশুদ্ধিকরণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস ধাতব পদার্থ যেমন স্টেইনলেস স্টিল, সোনা-রূপা, ইত্যাদিতে ৩-৫ দিন, প্লাস্টিকে ২-৩ দিন, কাঠের আসবাবপত্রে ৪ দিন, কাঁচ এবং সিরামিক জাতীয় বস্তুতে ৪-৫ দিন, এবং কাগজে ৫ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। ধাতব পদার্থসহ কাঠ, কাঁচ, সিরামিক, কাগজ, প্লাস্টিক প্রতিটি বস্তুর কাঁচামাল আমরা প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করে থাকি।
এমতাবস্থায় আমরা কি এসব বস্তুর ব্যবহার বর্জন করব? অবশ্যই না। আমাদেরকে এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং বাহুল্য বর্জন করতে হবে। প্রতিটি উপাদানের কাঁচামাল আহরণে প্রকৃতির উপর অতিশোষণ করা যাবে না। কৃষিসহ শিল্প কারখানায় উৎপাদনের মাধ্যমে ভূমি, পানি, বায়ু, ইত্যাদির যে দূষণ হয় তা রোধকল্পে করনীয় সম্পর্কে নিম্নে আলোকপাত করা হল।
বাংলাদেশে কৃষিই অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি আবার মাটি ও পানি দূষণের অন্যতম প্রধান উৎসও কৃষি। কৃষিক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার, কীটনাশক, ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি যেমন নষ্ট হয় তেমনি পানি দ্বারা বাহিত হয়ে নদী-নালা, খাল-বিলও দূষিত হয় যা সামগ্রিকভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব জগতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ভূমির উর্বরাশক্তি বজায় রাখার জন্য শস্য আবর্তন নীতি চর্চা করতে হবে। ফসল ক্ষেতে অতিরিক্ত সার এবং কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি বিজ্ঞানীদেরকে অল্প সার ব্যবহার, ঘাত সহিষ্ণু (স্ট্রেস টলারেন্ট) জাত ও কীটনাশক মুক্ত ফসলের জাত উদ্ভাবনে মনোযোগী হতে হবে।
পানির অপর নাম জীবন আর বায়ু ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। পানি ও বায়ু দূষণ প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। পানি দূষণের অন্যতম উৎস কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক এবং কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ। আর বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস পরিবহন, কল-কারখানা, ইট ভাটা, ইত্যাদি থেকে নির্গত ধোয়া। অনেক শহর অতিরিক্ত দূষণের কারণে বসবাস অযোগ্য শহরে পরিণত হয়েছিল এবং পাশাপাশি মৎস্য সম্পদকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
মানুষ শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের নানাবিধ জটিল রোগের পাশাপাশি পানি বাহিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছিল। যা তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি কর্মক্ষমতাকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বিগত দুই মাসের লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হলেও শহরসমূহের বাতাস এবং পানি অনেকটুকু দূষণ মুক্ত হয়েছে।
আশা করা যায় এর মাধ্যমে মানুষের চিকিৎসা বাবদ অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এই ধারা বজায় রাখার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট নীতিমালার কঠিন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে পানি ও বায়ু দূষণ রোধ করা যায়।
ভূমি, পানি, এবং বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে এবং এর ডাম্পিং ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে। প্লাস্টিক প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি মাছের আবাসস্থলকেও ধ্বংস করছে। প্লাস্টিকসহ অন্যান্য আবর্জনা যেমন নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে তেমনি এগুলোর রিসাইক্লিং-এর জন্য কারখানা স্থাপন করতে হবে। এতে করে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি কমবে তেমনি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অন্তত একটি করে রিসাইক্লিং প্লান্ট তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে যেসমস্ত কোম্পানি বেশি পরিমাণ প্লাস্টিকসম্বৃদ্ধ পণ্য উৎপাদন করে থাকে নিজ খরচে তাদেরকে একটি করে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করতে হবে।
শব্দ দূষণ পরিবেশের জন্য আরেকটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। সেটা গাড়ীর হর্ন থেকেই হোক কিংবা উচ্চ শব্দে বাদ্য-বাজনা থেকেই হোক। সমাজে বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণী-পেশার অনেক ধরনের মানুষের বসবাস। সবার সহনশীলতা একরকম নয়। আমরা বিগত দুই মাস লকডাউন অবস্থায় থেকে দেখেছি শব্দ দূষণ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এখান থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে আমরা শব্দ দূষণ না করেও জীবন ধারণ করতে পারি। অতএব, এ ব্যাপারেও আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং শব্দ দূষণ প্রতিকার সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
আরও পড়ুন : স্বার্থ ছাড়া ভালোবাসা নেই
বিদ্যুতের ব্যবহারেও আমাদেরকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন পরিবেশের ক্ষতির কারণ তেমনি বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহারও পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ। সেক্ষেত্রে দোকানপাট, শপিংমল, ইত্যাদিতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। দিনের আলোকে কাজে লাগিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শপিংমলসমূহ খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে করে লোড শেডিং-এর মাত্রাও কমবে এবং বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে গ্রিন হাউজ গ্যাসসমূহের নির্গমনও হ্রাস পাবে।
পরিশেষে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহারের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়। লকডাউনের কারণে প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি হলেও পরোক্ষভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নতি হয়েছে অনেক বেশী। মাছের প্রজনন মৌসুমে মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখলে যেমন অনেক মাছ পাওয়া যায়, তেমনি বছরে দুই মাস সবকিছু বন্ধ রাখলে আশা করা যায় প্রাকৃতিক পরিবেশের অশেষ উন্নতি সাধিত হবে।
সবকিছুই যে একই সময়ে স্থগিত রাখতে হবে তা নয়। বৎসরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাতের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। সরকারের নীতি নির্ধারনী মহল এই বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন বা বিবেচনা করতে পারেন। এর জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ যেমন পরিবেশ বিজ্ঞানী, কৃষি বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, জীব বিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হতে পারে। উক্ত কমিটি প্রতিটি উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বৎসরের কখন কোথায় কোনটি করনীয় বা কোনটি স্থগিত রাখা যাবে তা বিশ্লেষণ পূর্বক সরকারের কাছে সুপারিশ প্রণয়ন করবেন। পাশাপাশি পরিবেশ ও অর্থনীতির প্রতিটি খাতে কি পরিমাণ বেনিফিট এবং কষ্ট হবে তাও নির্ধারণ করবেন। আশা করা যায় এভাবেই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি সুন্দর পরিবেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হবো।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড