• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কাশ্মীর সংকট এবং পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা

  মো. ওসমান গনি শুভ

২১ আগস্ট ২০১৯, ১৫:০৮
কাশ্মীর

বর্তমান বিশ্বে চলমান সবচেয়ে পুরনো স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম হলো কাশ্মীরের মুক্তি সংগ্রাম। অর্ধ শতাব্দীরও অধিক সময় স্বাধীনতার জন্য সর্বাত্মক আন্দোলন-সংগ্রাম-তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ। কাশ্মীরের মুক্তি ও স্বাধীনতার আন্দোলনকে জটিল থেকে জটিলতর করে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলি পরাশক্তিসমূহ। এই সংকট নিরসনে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয় ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। এত বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যে কোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করতো এই অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে। এছাড়া এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১৯৪৭ সালের ১৯ অক্টোবর এই ধারার খসড়া তৈরি করেছিলেন শেখ আবদুল্লাহ। ভারতীয় সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই তৈরি হয় ৩৭০ ধারা। ১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ধারাটি ৩৭০-এ অন্তর্ভুক্ত হয় সংবিধানে। এই ৩৭০ ধারাটির সাথে ১৯৫৪ সালের সঙ্গে ৩৫ -এ উপ-ধারা যুক্ত করা হয়। এই দুই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতাভুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে)। অর্থাৎ সারা ভারতে যে সংবিধান বলবৎ ছিল জম্মু-কাশ্মিরের ক্ষেত্রে তা ছিল ভিন্ন।

কিন্তু বিগত ০৫ আগস্ট, ২০১৯ সংসদে ভারতের মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের তুমুল বাঁধা ও বাক-বিতন্ডার মধ্যে এই অনুচ্ছেদ রহিত করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা। এবার দেখা যাক- ৩৭০ ধারায় কি কি সুযোগ-সুবিধা পেতেন কাশ্মিরের নাগরিকেরা। জম্মু কাশ্মিরের বাসিন্দাদের দুটি নাগরিকত্ব থাকে। জম্মু-কাশ্মিরের রাষ্ট্রীয় পতাকা আলাদা। জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভার কার্যকাল ৬ বছরের, যা অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে ৫ বছরের হয়ে থাকে। এমনকি জম্মু-কাশ্মিরের ভিতরে ভারতের রাষ্ট্রীয় পতাকার অপমান করা অপরাধ নয়। জম্মু-কাশ্মিরের কোনো মহিলা ভারতের ২৯ রাজ্যের মধ্যে ২-৩টি ছাড়া বাকি রাজ্যের পুরুষের সঙ্গে বিবাহ করলে ওই মহিলার জম্মু-কাশ্মিরের নাগরিকত্ব সমাপ্ত হয়ে যায়।

ঠিক একইভাবে ভারতের অন্য কোনো রাজ্যের কোনো মহিলা জম্মু-কাশ্মিরের কোনো বাসিন্দাকে বিয়ে করলে তিনি জম্মু-কাশ্মিরের নাগরিকত্ব পেয়ে যান। এমনকি পাকিস্তানি কোনো নারী জম্মু-কাশ্মিরের নাগরিককে বিয়ে করলেও তার সমস্যা হয় না। সে কাশ্মিরের নাগরিকত্ব পায়। ৩৭০ ধারার বলে ভারতের সংবিধানের কোনো ধারা জম্মু-কাশ্মিরে কার্যকর হয় না। ৩৭০ ধারার বলে পাকিস্তানের কোনো নাগরিক জম্মু-কাশ্মিরে থাকলে তিনিও ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যান। জম্মু-কাশ্মিরে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার আইন নেই। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বা আদেশ জম্মু-কাশ্মীরে প্রয়োগ হয় না। জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দারা ভারতের কোথায়ও জমি কিনতে পারেন না। জম্মু-কাশ্মিরের জন্য রয়েছে আলাদা সংবিধান।

৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বাড়বে কাশ্মীরে। ইতোমধ্যে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতে। মনে করা হচ্ছে- এই বিতর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরালো হতে চলেছে। কাশ্মীর সংকটের উত্তেজনায় আরও বারুদের যোগান দিল এই ধারা বাতিলের আইন, অদূর ভবিষ্যতে এই সংকট সমাধানের পথে বিরাট অন্তরায় হবে এটি দক্ষিণ এশিয়া তথা উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হিমালয়ের কোল ঘেষে অবস্থিত একদার ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর বর্তমানে জ্বলন্ত, অগি্নগর্ভ-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার রণক্ষেত্র। একদিকে কাশ্মিরের ব্যাপক জনগোষ্ঠী যখন স্বাধীনতার প্রেরণায় উজ্জীবিত এবং সংগ্রামরত তখন কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনটি রাষ্ট্রীয় শক্তি নিজ নিজ স্বার্থে আগুয়ান। এরা হল- ভারত, পাকিস্তান ও চীন। এর সাথে বিষফোঁড়ার ন্যায় যুক্ত হয়েছে উগ্র কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী। এ সকল পক্ষ কাশ্মীর বিষয়টিকে নাজুক ও অমীমাংসিত করে রেখেছে। কাশ্মিরের জনগণকে নিজের মুক্তি, স্বাধীনতা ও ভাগ্য উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করছে।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভারত সমগ্র কাশ্মীরের ৪৩ ভাগ এলাকা দখল করে রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে জম্মু, কাশ্মীর উপত্যকা, লাদাখ এবং সিয়ানচেন হিমবাহ। পাকিস্তান অধিকার করে রেখেছে কাশ্মিরের ৩৭ ভাগ ভূ-খন্ড যার মধ্যে রয়েছে, আজাদ কাশ্মীর (রাজধানী মুজাফফরাবাদ) এবং উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট এবং বাল্টিস্তান (ইধষঃরংঃধহ)। অন্যদিকে চীনের দখলে রয়েছে কাশ্মিরের ২০ ভাগ এলাকা, যার নাম আকসাই চীন (অশংধর ঈযরহ)। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের সময় চীন এটা দখল করে নেয়। এছাড়াও চীন ১৯৬৩ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে পায় পার্বত্য ট্রান্স-কারাকোরামের সাকসাম উপত্যকা। অবশ্য ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মিরের ভূ-খন্ড দখল করে রেখেছে ১৯৪৭ সাল থেকে।

১৯৪৭ সালে ইংরেজরা উপমহাদেশকে স্বাধীনতা দিয়ে চলে যাবার সময় কাশ্মীরকে সে দেশের জনগণের ইচ্ছা ও স্বাধীনতার অধীনে থাকার ব্যবস্থা না করে সংকটের ঘূর্ণাবর্তে ফেলে রেখে যায়। উপমহাদেশের অনেক সমস্যার মতোই কাশ্মীর সমস্যাও ইংরেজ সৃষ্ট এবং ভারত পাকিস্তান কর্তৃক প্রলম্বিত। কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত পাকিস্তান ১৯৪৭, ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং সিয়ানচেন হিমবাহ নিয়ে পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে পারমাণবিক উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধের বিভীষিকা ছড়িয়ে দেয়। আর কাশ্মিরের (দখলকৃত) অভ্যন্তরে প্রচ- সামরিক আক্রমণ পরিচালনা করে। ফলে কাশ্মিরের সমগ্র ভূখন্ডটি বিভক্ত এবং জনগোষ্ঠী বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং দখলদার ভারতের আগ্রাসনে কাশ্মিরের ব্যাপক অংশই দৃশ্যত পরাধীন ও নির্যাতিত হয়ে আছে। এছাড়া ভারতীয় সরকার বিভিন্ন সময় নিরীহ মুসলমান নাগরিকদের হত্যা করে আসছে। এছাড়া পাকিস্তান সরকারের মদদে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীরাও ১৯৯০ থেকে বহু হিন্দু প-িতদের হত্যা করে, যার ফলশ্রুতিতে সমগ্র পন্ডিত জনগোষ্ঠী কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হয়। এক কথায় সাধারণ হিন্দু-মুসলমান উভয়ে নির্মম গণহত্যা আর নির্যাতনের স্বীকার হয় এই কাশ্মিরে।

১৯২৫ সালে হরি সিং নামক এক হিন্দু রাজা কাশ্মিরের সিংহাসনে বসেন। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময়েও মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর সেই হিন্দু রাজার শাসনে ছিলো। সে সময় কাশ্মিরের প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল মুসলমান। দেশ বিভাগের সময় তিনিও কাশ্মিরের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। তা হতেও পারতো। কিন্তু হঠাৎই ১৯৪৭ সালের ২০ অক্টোবর কিছু পাকিস্তানের কিছু পার্বত্য দস্যুদের আক্রমণের শিকার হয় দুর্ভাগা কাশ্মিরের অধিবাসীরা। সে সময় দস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে ও ভারতীয় সেনাদের সাহায্য লাভের আশায় ভারতের সঙ্গে যোগ দেন কাশ্মিরের অধিপতি রাজা হরি সিং, অথচ কাশ্মিরের প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্বাধীন থাকার পক্ষে ছিল। নাগরিকদের কেউ কেউ চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাথে থাকতে আবার কেউ চেয়েছিলেন ভারতের সাথে থাকতে। এদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান হওয়ায় পাকিস্তানেরও দৃষ্টি ছিল কাশ্মিরের ওপর।

ভারত যখন কাশ্মীর দখল করতে সৈন্য পাঠায়, তখন হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরি প্রচন্ড নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয় এবং ভারতীয় সৈন্যদের অত্যাচার ও আক্রমণে বহু কাশ্মিরি দেশত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে আসতে থাকে। ফলে ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পুরো সঙ্কটকে পর্যালোচনা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভারত বা পাকিস্তান নয়- 'কাশ্মিরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কাশ্মিরের জনগণের' বলে মত দেয় এবং গণতান্ত্রিক গণভোটের মাধ্যমে সে মতামতের ভিত্তিতে সঙ্কট নিরসনের সিদ্ধান্ত জানায়। কিন্তু জাতিসংঘ 'কাগুজে বাঘ' এর মতো তর্জন-গর্জন ছাড়া সমস্যার সমাধানে কোন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি। ১৯৬২ সালে চীন ও ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের একাধিক ছোট-বড় যুদ্ধ হয়। এইসব যুদ্ধ এবং দখলকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী এবং জঙ্গিদের বর্বর আক্রমণে ১৯৪৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এবং গৃহহীন, উদ্বাস্তু ও দেশান্তরী হয় লাখ লাখ কাশ্মিরি। এখনও প্রতিদিন রক্তপাত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে কাশ্মিরে।

এ সমস্যার সহজতম সমাধান হতে পারে, গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনতার রায় জানতে চাওয়া এবং রায় মোতাবেক কাশ্মীরকে তার মুক্তির পথে হাঁটতে দেয়া। একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করে, তার অধীনে কাশ্মীরের জনগণকে একতাবদ্ধ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মিরিদের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করা। কাশ্মিরের বাসিন্দাদের শিক্ষা ও প্রাথমিক চাহিদাপূরণে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহে ও তার ব্যবস্থাপনায় জাতিসংঘের সাথে একযোগে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

সাথে সাথে বিশ্বে জনমত সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা ও কর্মসূচি হাতে নেয়া। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে উভয় দেশের সরকার (পাকিস্তান ও ভারত) যাতে বাধ্য হয়, সেজন্য প্রচলিত বৈধ পন্থায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে সামরিক-বেসামরিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। ভারত ও পাকিস্তান কর্তৃক কাশ্মীরকে যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে গৃহযুদ্ধের অবসান করা। কারণ, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের যতগুলো পথ রয়েছে তারমধ্যে পর্যাপ্ত স্বায়ত্তশাসনই শাসকদের জন্য সহনীয়। অথবা, কাশ্মীর মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত জম্মু, কাশ্মীর আর লাদাখ। জম্মু ও লাদাখ হিন্দু ও বৌদ্ধদের আবাসস্থল আর কাশ্মীর হল মুসলিমদের আবাসস্থল। তাই বৌদ্ধ শাসিত লাদাখ চীনকে, হিন্দু শাসিত জম্মু ভারতের নিকট এবং কাশ্মীরকে পাকিস্তানকে সমঝোতার মাধ্যমে হস্তান্তরই হতে পারে যৌক্তিক সমাধান। ভারত-পাকিস্তান উভয়কেই কাশ্মীরকে টোপ হিসেবে ব্যবহার না করা। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ভারত-পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে করে উভয় দেশের সরকার সংলাপের মাধ্যমে সীমান্তে হত্যাকা- বন্ধ করে এবং কাশ্মিরে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ব্যবস্থা করে। সর্বোপরি ভারত-পাকিস্তানের ফলপ্রসূ আলোচনাই হতে পারে এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। বিশ্বের সর্বত্র শান্তিকামী মানুষের বাঁচার মৌলিক অধিকার আছে। আর এই অধিকারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আছে দুটি তাবেদার রাষ্ট্র আর উগ্র কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশ্বমোড়ল আমেরিকা, রাশিয়া আর জাতিসংঘের মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই একমাত্র ভূ-স্বর্গে শান্তি আসতে পারে, নতুবা এটি ভূ-নরকেই পরিণত হবে। আশা রাখি এই সংকট অচিরেই আলোর মুখ দেখবে।

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড