আদিত্য শাহীন
একেবারে মুক্ত স্বাধীন স্বাভাবিক দিনেও আমাদের কিছু কিছু লকডাউন, কিছু বন্দীদশা কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। তখন আমরা ভাবি, এখান থেকে বের হতে পারলে কী দারুণ হতো।
পৃথিবীতে অগণিত মানুষ আছেন যারা জন্ম থেকেই আজকের পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতা ও অনিশ্চয়তা নিয়ে চলছে। তাদের তৃপ্তি ও প্রশান্ত থাকার সরল অংক আমরা কখনো খেয়াল করিনি। কত অল্পে, কত দীনতায় তারা মনে মনে প্রাচুর্যময় হয়ে যায়।
ঈদে আমরা কী এমন করি? ভাতৃত্ব, সৌহার্দ্য এসবের চেতনায় ভাস্বর থাকি? শতভাগ উদার হয়ে যাই? নাকি নিজের জীবনকে উপভোগের উত্তাপে জিইয়ে রাখতে চাই। কী খাবো, কি পরবো, কি দেখাবো, কাউকে পেছনে ফেলে কী অর্জন করবো- এসব নিয়ে! মোজ মাস্তি আর কিছু সময়ের জন্য আত্মহারা হয়ে আমরা কী এমন তৃপ্তি পাই? ঈদে তো আমাদের বড় একটি অংশ বিছানায় লকডাউন হয়ে ঘুমিয়ে থাকি। আরেক অংশ ছুটে বেড়াই অনির্দিষ্ট পথে। দিনশেষে কি থাকে হাতে!
এবারের ঈদে তো কোনো পরিবর্তন দেখছি না। আকাশ তো আমারই আছে। প্রকৃতির সব অনুষঙ্গ ঠিকঠাক আছে। শুধু ভীড় বাঁধাতে পারছি না। আমরা তো ভীড়ও পছন্দ করিনা । তাহলে সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করে জীবন চালানোর বিষয়ে আজকের করনীয় নিয়ে এত বেশি হতাশ কেন হচ্ছি?
সময় তো এর চেয়েও তো খারাপ হতে পারতো! বাতাসে ছড়াতে পারতো করোনার চেয়েও কঠিন ভাইরাস। বলা হতে পারতো, বিদ্যুতের আলোয় এই ভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত হয়, ফোনের কানেক্টিভিটি ও নেটওয়ার্কের তরঙ্গ এই ভাইরাসের জন্য দারুন অনুকূল। হতে পারতো, সূর্যরশ্মিতে প্রাণবন্ত থাকে এই ভাইরাস!
আরো কত কিছুই তো হতে পারতো। আমরা তো অনেক ভালো আছি! আমাদের অনেক স্বজন, পরিচিত বন্ধু, চেনা অচেনা অনেকেই করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়ে চলে গেছেন পরপারে। তাদের প্রয়াত আত্মার শান্তি কামনা করি। আর আজকের দিনের শিক্ষাগুলোকে প্রতিনিয়ত পুঁজি হিসেবে সংগ্রহ করে যাই।
ঈদ মুবারাক। দৃঢ় হৃদয়ে সাবধান থাকুন। মনের গভীরে বিশুদ্ধ আনন্দ রাখুন।
লেখক: সিনিয়র নিউজ এডিটর, চ্যানেল আই।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড