আবু হানিফ
আজ ২৪ এপ্রিল, প্রতিদিনের মত আজও পূর্ব দিকে সূর্য উদয় হয়েছে পশ্চিম দিকে অস্ত যাবে এই স্বাভাবিক দিনে এক অস্বাভাবিক যন্ত্রণার কথা মনে করি দেয় কেননা ২০১৩ সালের ২৪ শে এপ্রিল এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয় ১১৩৬ (প্রায়)আর আহত হয় অনেকে।
সেই সকল মানুষদের জন্য দিনটা অনেক কষ্টের কেননা এদিনেই তারা হারিয়েছেন পরিবারের উর্পাজনকারী মানুষটিকে। অনেকেই বরণ করেছেন পঙ্গুত্ব। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়েগেছিল সাভারের আকাশ এমনকি সারাদেশও।
বাংলাদেশের ইতিহাসের এই নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার বিচার মোটেও এগোয়নি। দীর্ঘ ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচার হয়নি রানার। আর এসকল রানাদের পেছনে রয়েছে এক অদৃশ্য শক্তি। এই শক্তির ফলে হয়তো রানাও পার পেয়ে যাবে। কিন্তু যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তারা কী পেলো?
অথচ ২৩ শে এপ্রিল অর্থ্যাৎ রানা প্লাজা ধসের আগের দিন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানলের ভবনটির ফাটলের নিউজ প্রচার করা এবং বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়। তারপরও এক অদৃশ্য কারণে পরের দিন সেখানে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য বাধ্য করা হয়।
কেমন আছে শ্রমিকরা
রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ তৈরি পোশাকখাত থেকে আসলেও শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নেই মালিকদের কাছে এমনটাই মনে করে শ্রমিক নেতারা। তারা সব সময় শ্রমিকদের জীবনের চেয়ে তাদের ব্যবসাকে বড় করে দেখে।
৭ বছর পরে ২০২০ সালে বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের আক্রমণের শিকার, পুরো বিশ্ব যখন লকডাউনে ঘরবন্দি সময় কাটাচ্ছে তখন গার্মেন্টস ছুটি দিলে হাজার হাজার শ্রমিক গ্রামে ফিরে যান।
মাত্র কদিন পরেই তাদের নিজ নিজ কাজে যোগ দেওয়ার জন্য লোক মারফত, টেলিফোনে খবর পাঠানো হয়। করোনার ভয় কাটিয়ে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মাইলের পর মাইল হেঁটে কাজের জায়গায় এসে শ্রমিকরা শোনেন কারখানা ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের মধ্যে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সরকার শর্ত সাপেক্ষে সকল কলকারখানা খোলার সুযোগ দিয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে সকল কলকারখানা খোলা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তবে আশংকা থেকেই যায় কতটা নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে তারা কারখানা চালু করবে। যদিও এই করোনার মধ্যে অনেক গার্মেন্টস খোলা ছিল সেগুলোতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ছাড়া আর কোনোই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য।
অভিযোগ রয়েছে মালিকপক্ষের দিকে বিভিন্ন সময় বঞ্চিত করা হয় ন্যায্য মজুরি থেকে আবার শ্রম আইন না মেনে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়।
সরকারের প্রতি আহ্বান বিশাল সংখ্যার এই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় শ্রম আইনের বাস্তবায়ন সহ যুগোপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড