• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনা আতঙ্ক নয় : দরকার সচেতনতা

  রনজক রিজভী

০৩ এপ্রিল ২০২০, ২১:১৯
রনজক রিজভী
রনজক রিজভী

করোনাভাইরাস নিয়ে এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিশ্বজুড়ে। আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে সবার কাছেই। বিষয়টি আমি ভিন্নভাবে দেখছি। আতঙ্কের কিছু নেই। প্রয়োজন সচেতনা। আমরা সচেতন হলেই করোনাভাইরাসে আমরা আক্রান্ত হবো না। এরচেয়ে বড় সত্যি কিছু নেই। সরকার বারবার বিভিন্নভাবে জনগণকে সচেতন করছে। সেনা বাহিনীসহ মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে। মেনে চলতে হবে। গুজব দিয়ে ফেসবুক ইনবক্সে যে প্রচারণা চলছে। এড়িয়ে চলুন। শুধু সরকারকে বিশ্বাস করুন। অনেকে রাজনৈতিক বিতর্কেও জড়াচ্ছেন। একেবারেই কান দিবেন না। মনে রাখতে হবে- সংকটের সময় সুবিধাবাদী এবং সুযোগসন্ধানীদের তৎপরতা বাড়ে। সেটি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। নিজে বাঁচুন। অন্যকেও বাঁচতে সহযোগিতা করুন।

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এর অর্থ এই নয়, সবাই স্বাধীন। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে হবে। কিছুদিনের জন্য অভ্যাস বদলাতে হবে। সেই সঙ্গে কিছু অভ্যাস সারাজীবনের জন্য গ্রহণ করতে হবে। আমরা যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এর জন্যেই প্রয়োজন। রাস্তায় যেখানে সেখানে থুথু-কফ না ফেলা। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্টস্থানে ফেলা। জীবনের শৃংখলা আনা। পরিবেশ দুষণ হয় এমন কিছু না করা। বিষয়টি এমন যে, আপনি অনেক সম্পদশালী। কিন্তু নিজেকে বদলান নি। তাহলে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। নাগরিক হিসেবে আমাদেরও বদলাতে হবে। শৃখলায় ফিরতে হবে। সড়কে যানবাহন নেই, শব্দ দূষণ, কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দুষণ কমে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর নেই। যানজট নেই। চুরি-ডাকাতির খবরও কমে গেছে। রাস্তায় সিটি কর্পোরেশন থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। ধুলা উড়ছে না। নগরী পরিচ্ছিন্ন হয়ে উঠেছে। যদিও সবার দেখার সুযোগ মিলছে না। অনুমান করুন, কিম্বা টেলিভিশনের খবর দেখলেই আপনি অনেক কিছুই বুঝবেন। তবে কিছুদিন পর রাস্তায় আবারও যানবাহন নামবে। এতে কি মূহূর্তেই আবার সেই চেনা রূপে ফিরবে রাজধানীসহ সারাদেশ। আমরা যতোটা নিয়ন্ত্রিত জীবনে স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। তা ভুলে যাবো। এখান থেকেই আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা আগামীর দিনগুলোতে চলার পথে এই সংকট থেকে শিক্ষা নিবো।

অনেক চর্চায় আমরা একেবারেই অভ্যস্ত নই। শাসন-শোষনের ইতিহাস বেশ লম্বা। আমরা বদলেছি খুব সামান্য। উন্নত দেশগুলোতে গিয়ে সব শৃংখলা মেনে চলি। দেশে ফিরে সবভুলে যায়। কিন্তু গল্প করি- ওরা এরকম। ওদের ট্রাফিক আইন এরকম। এবার আপাতত কিছু সংস্কার দৃশ্যমান হবে। আমরা বদলাবো। পরবর্তী প্রজন্মও অনেকখানি এগিয়ে যাবে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট এই লেখায় উল্লেখ করতেই হচ্ছে- তিনি লিখেছেন, ‘গেল চার বছর টেলিভিশনে বলে বলে যা বাস্তবায়ন করতে পারি নাই, ‘করোনা ভীতি’ বাস্তবায়ন করলো চোখের পলকে। রাস্তায় পানি ছিটাচ্ছে পুলিশের জলকামান ও দমকল বাহিনীর গাড়ী। আগামী দিনগুলো এমনই দেখতে চাই’। তিনি যথার্থই লিখেছেন। আমিও তার সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র নাগরিকের জীবন ও সংস্কৃতি বদলে দেবে না। পথ দেখাবে। বদলাতে হবে- আমাদেরই।

লেখক: সাংবাদিক

[email protected]

চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড