• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমাজের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন 

  ফারজানা ববী

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৫৫
প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টা প্রয়োজন (ছবি : সম্পাদিত)

আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুদের আগামীর ভিত গড়ে ওঠে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে। আর সেটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাই তাদের সামনের দিনগুলো বিনির্মাণে শিক্ষকদের পাশাপাশি সমাজের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পাশাপাশি এ কাজে সমাজের জনগণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টা এ কাঠামোতে শক্তির সঞ্চার করে।

সমাজকে যদি আমাদের বিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে। স্থানীয় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত সম্ভব।

স্থানীয়রা যদি নিজ উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে উদ্যোগী হয় তাহলে বিদ্যালয়গুলোর গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া সমাজের জনগণের অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা না পেলে বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়ন শতভাগ সম্ভব হবে না। সমাজের জনগণ সহযোগিতা না করলে শিক্ষকদের একার পক্ষে বিদ্যালয় এলাকায় সঠিকভাবে শিশু জরিপ করা সম্ভব নয়। আমাদের অনেক অভিভাবক রয়েছেন যারা ততটা সচেতন নয়। সন্তানকে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি করান না।

তখন সমাজের সচেতন অভিভাবকরাই ওই অভিভাবকদের বুঝিয়ে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ, উঠান বৈঠক এ তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে খুব সহজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, পাঠোন্নতি ফলাফলসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহজেই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পৌঁছানো যায় এবং সচেতন করা যায়। তা না হলে শিক্ষার মানোন্নয়নের কাজটি আরও কঠিন হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের সঙ্গে সমাজের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া রোধ করা সহজ।

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ও ঝরে পড়া রোধ করার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি এসএমসি সদস্যরা হোম ভিজিট করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ করতে পারেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসছে কি না এবং সময়মতো পাঠদান করছেন কি না তা এসএমসি বা সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা দেখতে পারেন। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি স্থানীয় অনুদানে বা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পরীক্ষায় বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারেন স্থানীয়রা।

সমাজের সম্পৃক্ততা ছাড়া মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। পারস্পরিক সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমেই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

লেখক : ফারজানা ববী সহকারী ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সদর, গাজীপুর।

ওডি/এসএ

মতামত পাতায় প্রকাশিত লেখা লেখকের একান্ত মত। এর সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিমালার কোন সম্পর্ক নেই।
চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড