রহমান মৃধা
নূরের চেহারায় আমার সেই ছোট ভাই সেলিমের ছায়া দেখেছিলাম যেমনটি দেখেছিলেন আমার বাবা-মা সেলিমকে নিয়ে।
সেলিম সুস্থ হয়ে আস্তে আস্তে কী সুন্দর কী চমৎকার হয়ে বড় হতে থাকে। আমার পরিবারের সবচেয়ে মেধাবী ছিল সে। তার বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তার মেধা ছিল অসাধারণ। তৎকালীন এলাকার সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী বলে পরিচিত এক নাম সেলিম। তার জীবনের ইতি ছোট বেলায় ঘটেনি তবে তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে ১৯৮৪ সালের ২ আগস্টে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অকাল মৃত্যু হয় তার। মায়ের কান্নায় সে দিন পৃথিবী কেঁদেছিল।
আজ অনেকদিন পর সেই পুরনো ব্যথাটি মনের মাঝে চেপে বসেছে। নূর আজ সেই অতীতের স্মৃতি মনে করে দিয়ে গেল। গতকাল নূরের হাসপাতালের ভর্তির পর বাল্টিক সাগরের পাড় দিয়ে হাঁটতে নূরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। নূর সুস্থ হবে, বড় হয়ে একজন ভালো মানুষ হবে। তার জীবনের স্টোরি নতুন প্রজন্ম জানবে। আজ সকাল হতেই আমার সে স্বপ্ন ভেঙে গেল।
সামান্য একটু সময় আমার ভালোবাসা দিয়ে আমি তার এবং তার বাবা-মার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে না ফেরার দেশে চলে গেল নূর মোমিন। গতরাত ৪টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে। হে আল্লাহ তার পিতা-মাতাকে এ শোক সইবার শক্তি দান করুন। এত অল্প সময়ের মাঝে তারে আমি এতটা ভালোবেসেছি তা এখন উপলব্ধি করছি এই মুহূর্তে নিস্তব্ধ নীরবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড