• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ ফান্ডের কার্যকারিতা

  ফেরদৌস আরা বেগম

১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:১৩
ফেরদৌস আরা বেগম
ফেরদৌস আরা বেগম (ছবি : সংগৃহীত)

বাংলায় একটি কথা আছে যে, আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি। অর্থাৎ কাউকে প্রথম দেখাতে যদি ভালো লেগে যায় তবে তার প্রতি আকর্ষণ বোধটাও ধীরে ধীর চলে আসে। সুন্দরের প্রতি আকর্ষণবোধ মানুষের চিরন্তন। একটি মানুষের সুন্দর বেশভূষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা স্বাভাবিকভাবে অন্যকে আকর্ষণ করে। তেমনি একটি সুসজ্জিত আকর্ষণীয় বিদ্যালয় যেমন অভিভাবকদের ঐ বিদ্যালয়ের প্রতি টানবে তেমনি ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীও ঐ সুন্দর ছিমছাম বিদ্যালয়টিতে পড়ার জন্যও আকুলি বিকুলি করবে।

বিদ্যালয়টিকে সুন্দর চাকচিক্যময় করতে প্রধান শিক্ষকের যেমন আগ্রহ ও আন্তরিকতা থাকা প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন অর্থও। অর্থ ছাড়া একটি বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন করা সহজে সম্ভব নয়। বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত বা বৃহৎ মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলেও তা দরজা, জানালা মেরামত, বেঞ্চ তৈরি, ফ্লোর মেরামত, গ্রিল মেরামত বা রং করতেই সে বরাদ্দের টাকা শেষ হয়ে যায়। আর এসব মেরামতের টাকাও প্রতিবছর নয় ২/৩ বছর পর পর পাওয়া যায়। এই ২/৩ বছর পর পর পাওয়া বরাদ্দের অর্থ আবার অন্য কোনো সংস্কারের কাজে ব্যয় হয়ে যায়। তাই বিদ্যালয়টিকে যথাযথভাবে আকর্ষণীয় করার ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময়ই তা সম্ভব হয় না।

বর্তমান সরকার প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে স্লিপের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়কে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয় প্রতি বৎসর তার নিজ চাহিদা অনুযায়ী কী কী উন্নয়ন করবে বা তার বিদ্যলয়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কী সেটা স্লিপ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন করে অনুমোদন করিয়ে বরাদ্দ প্রাপ্তির সাপেক্ষে খরচ করবে। এভাবে প্রত্যেক বছরই প্রত্যেক বিদ্যালয়ে কিছু কিছু করে উন্নয়ন হচ্ছে ও বিদ্যালয়গুলো ধীরে ধীরে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে।

২০০৮ সালে সর্ব প্রথম সরকারিভাবে স্লিপের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় কয়েকটি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে। এ টাকার পরিমাণ ছিল ২০,০০০/- করে। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০০০০-৪০,০০০/-টাকা করা হয় ও সারা বাংলাদেশে চালু হয়। এ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ছাত্র ও বিদ্যালয়ের ছোট/বড় ধরন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সর্বোচ্চ ১০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এই টাকার আরেকটি বিশেষ দিক হলো যে বিদ্যালয়কে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক পাঠদানের স্থান তৈরি করতে সরকারিভাবে যেমন কিছু অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যচ্ছে তেমনি বিদ্যালয়ের স্লিপ কমিটি বা ম্যানিজিং কমিটির আর্থিক সঙ্গতি পূর্ণ সদস্যগণ নিজের সংগতি অনুযায়ী কিছু আর্থিক সহযোগিতা করবেন এবং সরকার ও স্থানীয় জনগণের আর্থিক অনুদানে বিদ্যালয়টির জরুরি সমস্যা সমাধান করা হবে এবং দিন দিন বিদ্যালয়টি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

একজন মানুষ পরিপাটি সুন্দর পোষাক পরিধান করলে তার মন যেরূপ প্রফুল্ল থাকে তেমনি আমরা মনে করি একটি বিদ্যালয় ও সুন্দর, গুছান, রঙিন ও আকর্ষণীয় হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সকলেই সে বিদ্যলয়টিকে পছন্দ করবে। ছোট শিক্ষার্থীরা সুন্দরের পূজারী সে পছন্দ করে ফুল, পাখি, প্রজাপতি, ইত্যাদি আর তার বিদ্যালয়টিতে যদি এসব কিছু রঙিনভাবে অঙ্কন করে রাখা হয় এবং বিদ্যালয়টি যদি তার ঘর-বাড়ি থেকে দেখতে সুন্দর হয় তাহলে সে সেখানেই বেশিক্ষণ থাকতে ইচ্ছা পোষণ করবে। আর বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তাকে যেভাবে পড়তে বলবেন বা যে আদেশ নির্দেশ দেবেন সে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করবে। কারণ এটা তার পচ্ছন্দের জায়গা এবং এ জায়গার মানুষগুলোও তখন তার পচ্ছন্দনীয় হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে আকর্ষণীয় বিদ্যালয়ের গুণে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তি বৃদ্ধি পাবে, উপস্থিতি বাড়বে, ঝরে পড়া রোধ হবে। সর্বোপরি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। ফলে আমরা পাব একটি আদর্শ বিদ্যালয়।

স্লিপের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলো যেসব কাজ ত্বরান্বিত করে সকলের দৃষ্টি খুব সহজেই আকৃষ্ট করতে পারছে সেগুলো হলো-

ক) বিদ্যালয়গুলোর ওয়ালে রং করিয়ে বিভিন্ন রকমের পাঠ সংশ্লিষ্ট বড় বড় ছবি অঙ্কন করে বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করা। খ) বিভিন্ন নীতিবাক্য ও গঠনমূলক বাক্যগুলো ওয়ালে বা বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে ও ভিতরে লিখে রাখা। গ) গরিব শিক্ষার্থীদের কাব ড্রেস বানিয়ে বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রাখা যাতে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করা যায়। ঘ) ক্ষুদে ডাক্তারদের অ্যাপ্রোন তৈরি করা। ঙ) বিদ্যালয়ের আকর্ষণীয় গেট করা ও নামফলক লাগানো। চ) বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথাযথভাবে উদযাপন করা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা। ছ) মা-সমাবেশ বা অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান বৃদ্ধি, উপস্থিতি নিশ্চিতসহ বিভিন্ন গঠনমূলক আলাপ- আলোচনা সভায় তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা। জ) বিদ্যালয়ের মাঠে বাগান করা বা টবে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা। ঝ) বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ঞ) মিলাদের আয়োজন করা। ট) পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায়ের আয়োজন করা। ঠ) টয়লেটে সাবান, স্যান্ডেল রাখা ও হারপিকের মাধ্যমে টয়লেট পরিষ্কার রাখা । ড) লুকিং গ্লাস লাগানো। ঢ) বঙ্গবন্ধু কর্নার, মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, বুক কর্নার তৈরি করা। ণ) শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে ককশিটে রংতুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় উপকরণ তৈরি করা। ত) প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখা। থ) নিরাপদ পানীয় জলের জন্য ফিল্টার ক্রয়। দ) বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের স্থির ছবি বোর্ড তৈরি। ধ) বিভিন্ন মনীষীদের নামে শ্রেণিকক্ষের নামকরণ করা। ন) উপকরণ কক্ষ তৈরি করা।

এসব কাজগুলো সাধারণত স্লিপের আর্থিক সাহায্যে সম্পূর্ণ রূপে করা সম্ভব নয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্লিপ কমিটির সদস্যগণ কিংবা শিক্ষকগণ সবাই মিলে স্লিপের অনুদানের সাথে নিজেরা ও কিছু আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের এরূপ কাজগুলো সম্পন্ন করেন। এছাড়া এমনও দেখা গিয়েছে যে, স্লিপ এর উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয় ধনী ব্যক্তিগণ আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ১টি/২টি কক্ষ নির্মাণ করে দিয়েছেন। কোথাও প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি নির্মাণ করেছেন। কোথাও বিদ্যালয়ের নামফলকসহ সুন্দর মানানসই গেট নির্মাণ করে দিয়েছেন। শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা নিজেরা বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন করছে, তথাপি কোথাও স্লিপ কমিটির সদস্যগণ বিদ্যালয়কে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পরিচ্ছন্নকর্মী বা আয়া রেখে দিচ্ছেন। স্লিপের সরকারি বরাদ্দে উৎসাহিত হয়ে তারা স্ব-উদ্যোগে এসব করছেন। এভাবে প্রতি বছর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসে প্রতিটি থানা/উপজেলায় বিদ্যালয়গুলো দিন দিন সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে স্লিপের সরকারি আর্থিক ফান্ড ও বেসরকারি-স্থানীয় উদ্যোগের ফান্ডের মাধ্যমে।

সুতরাং একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের যদি সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা থাকে এবং বিদ্যালয়টিকে তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন তাহলে একটি বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করতে তার কষ্ট হওয়ার কথা নয়। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে এই স্লিপের কার্যক্রমের ওপর কেননা তারই পারবেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্লিপ কমিটি, অভিভাবক সাদস্যদেরকে স্লিপের কার্যক্রমে উৎসাহী করে তুলতে। তাহলেই বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকর্ষণ সৃষ্টি হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পড়াশোনায় আগ্রহ ও উৎসাহ তৈরি হবে।

স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে বিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে হবে ও সম্মান দেখাতে হবে। তাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রতি মমত্ববোধ জাগানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি রঙিন ফুল হয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে। স্থানীয় জনগণকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। কারণ এ বিদ্যালয়ে অবৈতনিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কার্যক্রম হয়। স্থানীয় জনগণ ও চাইবেন তার এলাকার বিদ্যালয়টি যাতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। মানসম্মত পড়াশোনা হোক, ছাত্র উপস্থিতি বৃদ্ধি পাক তাই আমাদের সকল সচেতন অভিভাবক ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসা।

যেখানে বেসকারি/কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ মাসিক বেতন দিয়ে তার সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাসিক কোনো বেতন নেই, সারা বৎসর অন্যান্য তেমন কোন চাঁদা বা ফি ব্যাতিরেকে শিশুটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণিতে উঠে যাচ্ছে এবং একসময় প্রাথমিক স্তর শেষে মাধ্যমিকভাবে পা বাড়াচ্ছে। সুতরাং এ সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি প্রত্যেক অভিভাবক বা জনগণের কিছুটা দায়বদ্ধতা থেকেই যাচ্ছে। আর আমরা সকলে মিলে সরকারি স্লিপ ফান্ডের সাথে বেসরকারিভাবে আমাদের ব্যাক্তিগত ফান্ড থেকে সহযোগিতা করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আনন্দমুখর ও আকর্ষণীয় করতে এগিয়ে আসি ও কিছুটা হলেও দায়বদ্ধতা হতে মুক্ত হই। আজ যারা জ্ঞানে, গুণে, শিক্ষায়, অর্থের দিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী তারা কিন্তু এই বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেই আজ বড় হয়েছি। হয়তো আর্থিক সঙ্গতি থাকার জন্য তিনি তার নিজের সন্তানকে মাসিক বেতন দিয়ে কিন্ডার গার্টেন বা বেসরকারি বিদ্যালয়ে পাঠচ্ছেন, আর যার আর্থিক সঙ্গতি নেই তারা তো কোমলমতি সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। তবে আমাদের সকলের শিকড় কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাই এ বিদ্যালয়কে আমাদের ভালোবাসতেই হবে। কারণ শিক্ষার ভিত্তিই হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়া জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। তাই আসুন আমরা যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছি তারা সবাই স্লিপের সাথে জড়িত হয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই।

লেখক : ফেরদৌস আরা বেগম, থানা শিক্ষা অফিসার, সেনানিবাস, ঢাকা।

ওডি/এসএস

চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড