• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পৃথিবীর অশান্তির পেছনে নোংরা রাজনীতি দায়ী

  রহমান মৃধা

১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:১৫
রহমান মৃধা
সুইডেন প্রবাসী রহমান মৃধা

আজ থেকে ৭০ বছর আগে ন্যাটো জোট গঠন করা হয়। যে দেশগুলো এই ন্যাটো জোট গঠনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল এবং নেতৃত্ব দিয়েছিল তার মধ্যে আমেরিকার নাম তালিকার প্রথমে রাখলে ভুল হবে না। অন্যদিকে গঠন করা হয় ওয়ারশ চুক্তি।

উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো। ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিলে। ন্যাটো একটি সামরিক সহযোগিতার জোট এবং এই জোটের দেশগুলো পারস্পারিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগ। অন্যদিকে ওয়ারশ চুক্তি বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও পারস্পারিক সহায়তার চুক্তি হিসেবে পরিচিত। এই ওয়ারশো চুক্তি বা ওয়াৱশপ্যাক ন্যাটোর গঠনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাদৃশ্য পূর্ণরূপে এবং ন্যাটোর প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে গঠন করা হয়। এই জোটে যুক্ত করা হয় স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন কেন্দ্রীয় ও পূর্ব ইউরোপের আটটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জোট দুটি গঠন করা হয়। ওয়েস্ট ইউরোপের বেশির ভাগ দেশগুলো বেশ দুঃশ্চিতার মাঝে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের ভয়ে। না জানি কখন কোথায় আক্রমণ করে! এমন একটি সময় আমেরিকা সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে কৃপণতা করেনি। যে সমস্ত দেশ আমেরিকার সঙ্গে দল বেঁধেছিল তারা একবারও কি ভাবেনি আমেরিকা আটলান্টিক মহাসাগরের অন্য পাড়ে, কেনো তারা আমাদের বন্ধু হতে চায়? কারণ ছিল একটাই তা হলো সুপার পাওয়ার।

সোভিয়েত ইউনিয়ন পুরো ইউরোপ এবং এশিয়া ডোমিনেট করবে তা আমেরিকা কখনও মেনে নিতে পারেনি। তাইতো উঠেপড়ে লেগেছে সব সময় পৃথিবীতে শান্তির চেয়ে অশান্তি ডেকে আনতে। আমাদের এশিয়া মহাদেশে পাকিস্তানকে অনেকবার কাজে লাগিয়ে নানা কুকর্মের ব্যবস্থা করেছে আমেরিকা। যাই হোক না কেনো পশ্চিমা ইউরোপ এবং আমেরিকা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙ্গেচুৱে তছনছ করেছে।

প্রথমে মিখাইল গর্ভাচভ, পরে বরিস নিকোলায়েভিচ য়েলৎসিন এবং শেষে পুতিন। সব চলে গেলেও রাশিয়া রয়েছে এখনও। যারা সোভিয়েত ছেড়েছে তারা যোগ দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। আবার অনেকে যোগ দিয়েছে সেনজেন দেশগুলির সঙ্গে। ন্যাটো জোটের মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত বা বর্তমান রাশিয়াকে দাবিয়ে রাখতে চেষ্টা করা। অথচ বর্তমান ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার বেশ ভালো ভাব রেখেছে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম এবং পুতিনের মধ্যে, বলতে গেলে তাদের মাঝে ঘনিষ্ট সম্পর্ক। এ ক্ষেত্রে কি মনে হয়? ন্যাটো মেম্বারদের বুঝতে কিছুটা দেরি হলেও তারা এখন সচেতন। সচেতন জাতি খোঁজে সমাধান।

তাই হয়তো এবারের ন্যাটো জোট সেলিব্রেশন তেমন আনন্দময় মুহূর্ত দিতে পারেনি মিস্টার ট্রাম্পকে। ন্যাটো মেম্বাররা তাকে মাথায় তুলে নিতে পারেনি যার কারণে সবকিছু ফেলে, কাউকে না জানিয়ে এবারের ন্যাটো জোট থেকে গোপনে লন্ডন ছেড়েছে আমেরিকার প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিহাসের পাতা খুঁজলে এমন ধরনের ঘটনা খুঁজে পাওয়া যাবে না।

পৃথিবীর রাজনীতি কলুষতায় পরিপূর্ণ। নতুন করে ঢালাই করতে হবে বিশ্ব রাজনীতিকে। সময় এসেছে বিশ্বে নোংরামি না চড়িয়ে নিজ নিজ দেশের সমস্যা সমাধানের। পৃথিবীর মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে চায়। হোক না সে বাংলাদেশি বা আমেরিকান তাতে কিছু যায় আসেনা।

চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড