কামরুল আহসান আসিফ
শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম মূল দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও আগে। উচ্চশিক্ষিত হতে হলে যেমন ১, ২, ৩, অ, আ, a, b, c পড়ে আস্তে আস্তে উপরের ক্লাসে উঠতে হয়। ঠিক তেমনিই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেও ছাত্রলীগ সংগঠনটি।
যেখানে কর্মীরা শিখে মার্জিত ব্যবহার, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, শিষ্টাচার, রাজনৈতিক শৃঙ্খলা, মানবিকতা, দেশ-সমাজ নিয়ে দায়িত্ববোধ, সুন্দর জীবনযাপন ও পরস্পরের প্রতি সুহৃদ, স্নেহ, মমতা ও সম্মানবোধ।
একমাত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগই হলো কর্মী তৈরি করার মেশিন। যে সংগঠন করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোরদের সাথে মেশা যায়, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে সজাগ করা যায়। প্রতিদিন নতুন নতুন ছোট ভাই তৈরি হয়, বড় ভাইদের কাছে গিয়ে তাদের থেকে ভালোবাসা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এমন একটি সংগঠন, যেখান থেকে সাবেক হওয়া যায়। কিন্তু আবেগ অনুভূতিতে মিশে থাকে বড়-ছোট ভাইদের ভালোবাসায় ঘেরা মায়াময় অনুভূতির বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনটি কর্মী হওয়ার জায়গা। আপনার ছোট বেলায় ক্লাসে কেউ না কেউ বিভিন্ন যোগ্যতায় ক্লাস ক্যাপ্টেন হয়, কিন্তু সে শিক্ষক হয়ে যায় না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কেউ না কেউ থাকে কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মীদের পাঠশালা, এখানে সবাই শিক্ষার্থী। নেতৃত্বে যারা থাকেন তারা তাদের অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে এগিয়ে থাকেন। তাদের ধৈর্যশীলতা, বুদ্ধিমতার কারণে তারা তাদের নিজেদের সবার মাঝে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকেন।
সংগঠনটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাই সাবেক হতে হবেই। কিন্তু সাবেক হয় না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা। হয়তো বয়সের কারণে আওয়ামী লীগ যুবলীগ করতে পারে কিন্তু ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব, তাদের প্রতি ভালোবাসা এবং সংগঠনের ভালো-খারাপে ঢাল হয়ে সকল বিপদে থাকেন সাবেক নেতৃবৃন্দরা।
কিন্তু যারা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিপদে পাশে থাকে না। তারা হয়তো কোনো দিনই ছাত্রলীগ করেনি। নয় তো তাদের আদর্শে ছিল বেঈমানি। কারণ ছাত্রলীগের কর্মীরা ডিম থেকে সদ্য ফুটে বের হওয়া একটি বাচ্চা। এখানে অনেক ভুল করাটা অস্বাভাবিক নয়। সদ্য বাচ্চাটিকে যা শেখাবেন তাই শিখবে। ভুল কিছু শেখাবেন। তাহলে ভালো কিছু আশা করবেন কীভাবে?
একজন মানুষের ব্যবহার বলে দিতে পারে তার রুচি ও পারিবারিক এবং সাংগঠনিক শিক্ষা কী ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মীদের গড়ে নেওয়ার বয়স থাকে। তাদের ভালো কিছু শেখান যাতে সমাজকে কিছু দিতে পারে। সবারই পরিবার আছে, নিজস্ব সম্মান, সমাজ আর পরিচিতি আছে। কাউকে ছোট করে অসম্মানিত করলেই বড় হওয়া যায় না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই শিক্ষাই দিয়ে থাকে।
কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ফাদার সংগঠন ও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগকে ভ্রাতৃত্ব সংগঠন মনে করে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিবারের বাবার মত সম্মান করে। আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের পরিবারের বড় ভাইয়ের মত সম্মান করে।
কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি সংগঠনই নয় একটি পরিবারও। ছাত্রলীগের কর্মীরা সবাইকে মাথা নুয়ে সালাম দিতে পছন্দ করে এইটা তাদের দুর্বলতা নয়, এইটা তাদের শিক্ষা। পরিবারের বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ আর ভালোবাসায় কাছে ডাকা।
পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া সেরা দার্শনিক, সব চেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ হযরত মোহাম্মদ (স.) ছোট বড় যাকেই দেখতেন সবার আগে তিনিই সালাম দিতেন। এইটা থেকে আমাদের মানবজাতির জন্য শিক্ষা, ‘কাউকে সম্মান করলে, সম্মান কমে না’।
একজন ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে হয়... দেশ গড়তে যেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আগামীর সম্ভাবনাময় ভূমিকা রাখবে, সেই ছাত্রলীগের প্রতি সবার সুদৃষ্টি, ভালোবাসার ছায়া আর দায়িত্বশীল আচরণ আশা করছি।
ওডি/এমআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড