• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পেঁয়াজের এত ঝাঁজ! 

  মাহবুব নাহিদ

১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:০৪
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ। (ছবি : সংগৃহীত)

সামান্য পেঁয়াজ এখন হয়ে গেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সকলের মুখে মুখে পেঁয়াজের নাম। পেঁয়াজ নিয়ে এখন সংবাদমাধ্যম সরগরম। পেঁয়াজ নিয়ে এখন চায়ের কাপে তুমুল ঝড়। পেঁয়াজের ঐতিহাসিক মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিতে পারছে না দেশের মানুষ। দিনের পর দিন পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলছে। পেঁয়াজ নিয়ে বহু কবিতা রচিত হচ্ছে, রচিত হচ্ছে বহু রম্য, লেখা হচ্ছে গান, রেসিপি বিশেষজ্ঞরা তৈরি করছে পেঁয়াজ ছাড়া রেসিপি। পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার প্রস্তুতি নিতে বলছে অনেকেই। পেঁয়াজ কুড়িয়ে পথশিশুদের আয় হচ্ছে ৫০০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে হালি দরে, এমন নিউজও ঘুরে বেড়াচ্ছে সবখানে।

মূলত পেঁয়াজের দাম ৩০-৫০ টাকার মধ্যে থাকে আমাদের দেশে। কিন্তু সেই পেঁয়াজের দাম এখন ছাড়িয়ে গেছে ২০০ টাকায়। পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমগুলোকে। বানিজ্যমন্ত্রী সরাসরি জানিয়েও দিয়েছেন যে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নীচে নামার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। আসলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কি! অনেকেই এর পিছনে ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসাকে কারণ হিসেবে দেখছেন। এখানে অনেকে তাদের দোষারোপ করছে অনেকেই। কিন্তু দোষারোপ করার কোনো সুযোগ আসলেই নেই। কারণ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দেশেও ফলন কম হয়েছে, বৃষ্টিতে অনেক নষ্ট হয়েছে। তাই তারা রপ্তানি করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। আর আমাদের দেশের বাজারের ৬০ ভাগই থাকে ভারতের পেঁয়াজ, তাই তারা রপ্তানি বন্ধ করায় আমাদের বাজারে পেঁয়াজের শুন্যতা দেখা দিয়েছে। তবে ভারত একদম শেষ মুহুর্তে এসে এই ঘোষণা দেয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে আমাদের। অন্য যে সকল দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় যেমন মিয়ানমার, তুরস্ক, সেসব জায়গা থেকে এতটা আনা সম্ভব হচ্ছে না যা ভারত থেকে আনা যেত।

কিন্তু কথা হচ্ছে তাহলে কিছুদিন আগে কৃষকরা দাম পাচ্ছে না বলে কান্নাকাটি করল তার কি হবে? মূলত তখন সিন্ডিকেট মনে করেছিল কম টাকায় ভারতের পেঁয়াজ কিনবে তাই আমাদের কৃষকদের তেমন দাম দেয়নি তারা। আর পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল দ্রব্য তাই কৃষকরা বেশিদিন সংরক্ষণ করেও রাখতে পারেনি। আর এই বছর ফলনও হয়েছে কম। শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।

তবে মূল্যবৃদ্ধির পিছনে সিন্ডিকেটের ভূমিকা অনেক বেশি। তাদের কাছে থাকলেও তারা এখন মজুদ করে রাখছে। ইচ্ছা করে দাম বাড়াচ্ছে তারা। তারা এতই শক্তিশালী যে তাদের যেন কিছু করার ক্ষমতাও কারো নেই।

টিবিসির মাধ্যমে কিছু পেঁয়াজ আসছে যা ৩৫/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এর সংখ্যা ততটা সন্তোষজনক নয়। আর সবাই তো এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতেও পারবে না।

এখন দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজের বাতাসে দাম বেড়ে গেছে চালেরও। হঠাৎ করেই চালের বাজারেও আগুন। এদের আগুনের ধোঁয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অন্য পণ্যও। এভাবে আগুনের লেলিহান শিখা যদি প্রজ্জ্বলিত হয়ে থাকে তাহলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের কি হবে?

লেখক : মাহবুব নাহিদ

চলমান আলোচিত ঘটনা বা দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য সমসাময়িক বিষয়ে আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড