বঙ্গ রাখাল
ভাঙ্গা বুক
পৃথিবীর হাত ধরে হাঁটতে গিয়ে তুমি নিজেই হেঁটে আসলে প্রাচীন শূন্যতা। নৈকট্য ছুঁয়ে দিলে তুমি আমি আঁকি পাখি বুকে আকাশের মানচিত্র।
দূরে দূরে করে অনেক দূরে গেলে তবু রয়ে গেলে মুচড়েভাঙ্গা বুকে।
চোখের জলে
একটুখানি রাতের হাওয়া একটুখানি ঘুম- রাত পোয়ালে শঙ্খ বাতাস আনমনে দেয় চুম।
তোমার আকাশ মেঘ করেছে দল ছেড়েছে কৈ জরায়ুতে দীঘল ব্যথা পাড়াতে হৈচৈ।
চোখের জলে জমলে নদী আত্মাঘাতী পুরুষ বুকে তুলার দুঃখ পুষে জ্বালাই দিনের সুরুজ।
পতিতা
তোমার পাপহীন শরীর জুড়ে আয়েসী বাগান আত্মসুখে ভোগে কামুকশাবক... আমি তোমার চিবুক ছুয়ে আশ্বস্ত করতে পারি আমিও তোমার বাগান হবো ছড়িয়ে দিব ফুলের সুকোমল ঘ্রাণ।
ওহ গাঙফড়িং- তুমিও শ্যাওলা জমা পুকুরে জমা রাখো আঙ্গুলে ফিরে পাওয়া দেহলীতাজ।
পত্রলেখা মেয়েটা হঠাৎ করেই গোপনে শিখে নেয় মানুষ হরণের কৌশল।
গৃহপালিত জীব
আমি গৃহপালিত পশু। আমার দুইটা হাত, দুইটা পা ও একটি মাথা আছে। প্রভু আমাদের যেমন ইচ্ছা তেমনই নাচান। কেননা আমরা গৃহপালিত জীব। প্রভুর কৃপায় আমাদের কুঁজো পিঠ সোজা হয়, চৌকাঠ ভেঙ্গে মাঝে মাঝে জমা হয় সন্ধ্যাআঁধার। কপালের ঘাম ঝরিয়ে এই আমি জ্যামিতিক মনে- মা, বোনের জন্য খরিদ করি ছোট ছোট সুখনামী অসুখ। সুখের অন্তরালে প্রভুর কাছে প্রতিদিন বিসজন দেই বেঁচে থাকার স্বপ্নআশা। প্রভু বড় দয়ালু-জীবন শোষণের মোহন কারিগর।
আরও পড়ুন : কোমল রোদ্রে বাজে মাড়াইয়ের ধ্বনি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড