বিমানের যাত্রীসেবার মান বাড়াতে সরকার আন্তরিক : প্রধানমন্ত্রী 

বিশ্বের দূরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সরকার বিমানের যাত্রীসেবার মান বাড়াতে আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে কেনা বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্টদের আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট সেফটি সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান ভ্রমণ নিরাপদ ও সহজলভ্য করতে কাজ করছে সরকার। এজন্য অত্যাধুনিক রাডার ক্রয় থেকে শুরু করে বিমানের সংখ্যা বাড়ানো এবং বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাই। এ জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সিভিল অ্যাভিয়েশনকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বিমান বাহিনীকে সবদিক থেকে স্বচ্ছল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এজন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজও চলছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচলে ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিমান বাংলাদেশেরও উন্নয়ন করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচলের উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করেন। এই ধারাবাহিকতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার অব্যাহত রেখেছে এবং একটি যুগোপযোগী বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এটি চালু হলে বছরে আড়াইগুণ বেশি যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং খুলনা বিভাগে আরও একটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচলের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিমান উড্ডয়ন একটি উচ্চতর কারিগরি পেশা। তাই নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত ও বিমানের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে আরও আন্তরিক হতে হবে। কারণ পেশাগত ক্ষেত্রে সততা এবং শৃঙ্খলার বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই বন্দর যাতে আমাদের পাশের বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোও ব্যবহার করতে পারে সেভাবেই আধুনিক করে নির্মাণ করা হচ্ছে।

বেসামরিক বিমান পরিচালনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাঁচ তারকা মূল্যায়ন পেয়েছে। এছাড়া বিমান পরিচালনা মূল্যায়নকারী যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাও আমাদের মূল্যায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী সেমিনারে অংশ নেওয়া চার মহাদেশের ১৬ দেশের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের বিনিময় নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওডি/এআর