অধিকার ডেস্ক ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৩৫
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ কার্যালয়ে এসে অবরুদ্ধ হন ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। শিক্ষার্থীরা বুয়েট ভিসিকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাকে তোমরা ফাঁসি দিয়ে দাও।’ তবে পদত্যাগ করবেন-কি-করবেন না এ বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি।
উপাচার্য কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ঘিরে ধরেন। তারা আবরার হত্যার বিচার দাবিতে ৮ দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে জানতে চান, রবিবার রাতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মারার পর দীর্ঘ সময় তিনি কোথায় ছিলেন? তোপের মুখে পড়ে ভিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।’ শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘মৃত্যু নয় আবার খুন হয়েছে’। এ সময় ভিসি বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, আবরার খুনই হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, আমি এই ঘটনার পর থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। ৫-৬ জনকে নিয়ে বসেছি। আমার হাতে তো আর সব নেই। আমার হাতে যেগুলো রয়েছে, সেগুলো করছি। তোমাদের আমি নীতিগতভাবে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সারা দিন কথা বলেছি, তোমরা ধৈর্য হারিও না।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা ভিসির বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারেননি। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান শুরু করেন। ভুয়া ভুয়া স্লোগান শুনে ভিসি তার বক্তব্য বন্ধ করে দেন।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড