• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিটিভিতে আবারও শুরু হচ্ছে ‘নতুন কুঁড়ি’

  অধিকার ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫১
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও নতুন কুঁড়ির লোগো (ছবি : সংগৃহীত)

বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভিতে আবারও শুরু হচ্ছে ‘নতুন কুঁড়ি’। শিশুশিল্পী অন্বেষণের এই অনুষ্ঠান ২০০৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন অনুষ্ঠানটি আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন-বেতার শিল্পী সংস্থার’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সভাপতি নাট্যকার ও অভিনেতা ইনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশার ও অন্য নেতারা।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিটিভিতে বহু বছর অডিশন বন্ধ ছিল। ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই কেন্দ্রেই আমরা অডিশন চালু করেছি। বিটিভিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল। আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে একটি যুক্তি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিতর্কের বিকল্প নেই। কিন্তু কেন যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল আমার জানা নেই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এরইমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই টেলিভিশন কেন্দ্রেই জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা চালু করেছি। বাংলা ও ইংরেজি দুটিতেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন বিটিভিতে ‘নতুন কুঁড়ি’ নামে খুব ভালো একটি অনুষ্ঠান হত। বর্তমানে দেশের বহু প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ও রাজনীতিবিদ যাদের আবির্ভাব হয় নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে। কিন্তু সেটিও বন্ধ। আমরা সেটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, শিল্পীরা তাদের দক্ষতা দিয়ে অন্যদের বিনোদন দেন। কিন্তু তাদের নিজেদেরই রয়েছে অনেক দুঃখ। এজন্য শিল্পী সম্মানী ভাতা বাড়াতে হবে বলে তথ্য মন্ত্রী মত দেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৬৪ সালে বিটিভি যাত্রা শুরু করে। কিন্তু কখনোই দেশের বাইরে বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দেখা যায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বেও কারণে এখন সেটি সম্ভব হয়েছে। এখন সমগ্র ভারতে বিনা খরচে বিটিভি দেখা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে বিটিভিতে জাতীয়ভাবে মেধা অনুসন্ধানের জন্য ‘নতুন কুঁড়ি’ জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা যাত্রা শুরু করে।

নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে ওঠে আসা খ্যাতিমান শিল্পীদের মধ্যে আছেন- অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ তারানা হালিম, মেহের আফরোজ শাওন, কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈশিতা, তমালিকা কর্মকার, তারিন আহমেদ, সাবরিন সাকা মীম ও মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। কবিতাটির প্রথম পনের লাইন অনুষ্ঠানের থিম সং হিসেবে গাওয়া হত।

আমরা নতুন আমরা কুঁড়ি নিখিল বন নন্দনে, ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা জীবন জাগে স্পন্দনে। লক্ষ আশা অন্তরে ঘুমিয়ে আছে মন্তরে ঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাঁপড়ি পাতার বন্ধনে। সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটবো মোরা ফুটবো গো, অরুণ রবির সোনার আলো দুহাত দিয়ে লুটব গো। নিত্য নবীন গৌরবে ছড়িয়ে দেব সৌরভে, আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো। সাগর জলে পাল তুলে দে, কেউবা হবে নিরুদ্দেশ, কলম্বসের মতই বা কেউ পৌঁছে যাবে নতুন দেশ। জাগবে সারা বিশ্বময়। এ বাঙালি নিঃস্ব নয়, জ্ঞান-গরিমা শক্তি-সাহস আজও এদের হয়নি শেষ।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড