• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নতুন আইনে বঙ্গোপসাগরের ইলিশের ভাগ পাবে ভুটান-নেপাল

  অধিকার ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:০৫
ইলিশ
ছবি : সংগৃহীত

শুধু সমুদ্রঘেঁষা দেশই নয় ভুটান-নেপালের মতো সমুদ্রহীন দেশও বঙ্গোপসাগরের ইলিশের ভাগ পাবে। মাছ ছাড়াও খনিজ আহরণ করা হলে; ন্যায্যতার ভিত্তিতে সব দেশকে তা ভাগ করে দিতে হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সমুদ্রসীমা আইনের খসড়া তৈরি করেছে। সরকার এটি উপযুক্ত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খোরশেদ আলম

খোরশেদ আলম বলেন, জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন-১৯৮২-এর আলোকে খসড়াটি প্রণয়ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমুদ্রসীমা আইন-১৯৭৪ সংশোধন করা হয়েছে। এ আইনে মাত্র নয়টি ধারা ছিল। যা ছিল সম্পূর্ণ দেশীয় প্রেক্ষাপটকে চিন্তা করে। কিন্তু এখন সময় এসেছে এটি আন্তর্জাতিকভাবে চিন্তা করার। নতুন আইনে প্রায় শতাধিক ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।

মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সূত্র জানায়, খসড়া আইনে সমুদ্রসীমা এলাকা, সংলগ্ন অঞ্চল, মহীসোপান (তলদেশ), কৃত্রিম দ্বীপ, জলরাশি (অর্থনৈতিক অঞ্চল), মৎস্য ও খনিজ সম্পদের উৎস, দেশি-বিদেশি নৌ চলাচলের আওতাসহ বিভিন্ন বিষয় আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান ২, ৩, ৪ (১) (২), ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ ধারার আংশিক বা পুরোপুরি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা দিয়ে সমুদ্রসীমা এলাকা, সংলগ্ন অঞ্চল, কৃত্রিম দ্বীপ, মহীসোপান (তলদেশ), জলরাশিসহ (অর্থনৈতিক অঞ্চল) প্রতিটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যা বিদ্যমান সমুদ্রসীমা আইনে উল্লেখ ছিল না।

খোরশেদ আলম বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে এক দেশের জলযান বিশেষ কিছু বিধি-নিষেধ সাপেক্ষে অন্য দেশের আঞ্চলিক জলসীমার মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারবে। ১৯৭৪ সালের আইনে এটি ছিল না।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড