টাকা দিতে ঢাকায় হাঁটছে বিদেশিরা, প্রভুত্ব মানবো না!

বাংলাদেশকে টাকা (ঋণ) দেওয়ার জন্য বিদেশিরা ব্রিফকেস নিয়ে ঢাকায় হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও চীনের ব্যাংকসহ অনেকে বাংলাদেশকে বিলয়নস অব ডলার ঋণ দিতে চায়। তবে আমরা কেন ডোনার ফান্ড চাব?

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘুরছে। আমরা দরকার হলে ঋণ নেব। আবার সময়মতো তা পরিশোধ করব। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করছি।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানগুলোর মাত্র ১ শতাংশ মূলধন ডোনার ফান্ড হতে আসে। তাহলে এ বিষয়ে এত কথা বলার কী রয়েছে? ফান্ড ইনসাফিসিয়েন্ট হলে ভয়ের কিছু নেই। আমরা প্রয়োজনে ঋণ নেব। ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক। উই ডোন্ট লাইক দিস।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৪ সালে অনেক ডোনেশন আসত। তখন আমরা সেগুলো নিতাম। এসব নিয়ে বিদেশিরা তখন বাহাদুরি দেখাত। এখন আর তাদের বাহাদুরি দেখার প্রয়োজন নেই। সোজা কথা হলো- আমাদের প্রতি কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে আমরাও হাত বাড়াব। কিন্তু প্রভুত্ব মেনে নেব না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাকের জৈষ্ঠ্য উপদেষ্টা ও সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিম। বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী। আইএনএম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, পেইজ ডেভলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লোকমান হাকিম, অন্তর সোসাইটি ফর ডেভলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা এমরানুল হক চৌধুরী, প্রমুখ।

ওডি/এমআর