‘তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে’

তিস্তা নদী শাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং এই নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ভাঙন কবলিত ধরলা নদীতে কালোয়া বাঁধ সংস্কার কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পানি তাদেরও (ভারত) দরকার আমাদেরও দরকার। আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ কিভাবে তিস্তার পানি ব্যবহার করতে পারি সে ব্যাপারে দুই দেশের টেকনিক্যাল পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা দেখতে পাব তিস্তা নদীর পানি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নদীর পানিতে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে এই এলাকার ভাঙন ও বন্যা কমে আসবে। এলাকাবাসী যাতে বন্যা কবলিত ও ক্ষতিগস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’

এরপর প্রতিমন্ত্রী উলিপুর শহরে বুড়িতিস্তা নদী খনন কাজের অগ্রগতি, নাগড়াকুড়াটি হেড গ্রোয়েন বাঁধ এবং চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর রক্ষা বাঁধের নতুন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি স্পিডবোড যোগে চিলমারীর রমনা ও উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মতিন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, রংপুর উত্তর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী লক্ষ্মী প্রসাদ ঘোষ, রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলায় ৩০২ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ওডি/ এফইউ