• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সীমা দাস এখন সুমাইয়া, সাগরকে খুঁজছে পুলিশ

  অধিকার ডেস্ক    ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৫

সুমাইয়া ওরফে সীমা দাস
সুমাইয়া ওরফে সীমা দাস (ছবি : সংগৃহীত)

প্রাণভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এর জন্য পুলিশ দুটি প্রশ্নের উত্তর চায়।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য এনআইডি তৈরির একটি চক্রের ২ সদস্যকে খুঁজছে পুলিশ। এদের ধরা গেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। এই দুজনের একজন সাগর (৩৭)। তিনি এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড। সাগর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির প্রজেক্ট থেকে চাকরিচ্যুত হন। তিনি তদন্ত শুরুর পরই আত্মগোপন করে আছেন। চক্রটির আরেক সদস্যের নাম সত্য সুন্দর দে (৩৬)।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রটির নারী সদস্য সুমাইয়া ওরফে সীমা দাস। তার কাছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লাইসেন্স করা ল্যাপটপ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুমাইয়ার পূর্বের ধর্ম সনাতন (হিন্দু)। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। বর্তমানে এই তরুণী মুসলিম হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন। তার পূর্বের নাম সীমা দাস।

তিনি বলেন, এই সুমাইয়া ওরফে সীমার প্রকৃত পরিচয় বের করতে আরও তদন্ত দরকার। আমরা তার এই পরিচয়ের সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছি।

এ দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে নগরের ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

ইসির কর্মচারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়া, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

কোতোয়ালী থানায় করা মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম নগরের ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫), তার সহযোগী চালক বিজয় দাস (২৬) ও তার বোন সীমা দাস (২৪) ওরফে সুমাইয়া। সীমা দাস চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আয়া। বাকি দুই আসামির নাম তদন্ত করার স্বার্থে পুলিশ গোপন রেখেছে।

এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন বলেন, ‘ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারীসহ তিনজনকে আটকের পর সোমবার সারারাত বিষয়টি নিয়ে কাজ হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমার দায়ের করা মামলায় ওই তিনজনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বাকি দুইজনের নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।

আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে জানিয়ে মুনির হোসাইন আরও বলেন, ‘ওই দুইজন আটক হলে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়া চক্রটির মূল হোতাদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা করছি।’

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, হাটহাজারী থেকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিতে আসা রোহিঙ্গা নারী লাকি আক্তারকে শনাক্তের পর জানা যায়, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িত। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে গত তিন দিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।

মো. হাসানুজ্জামান বলেন, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ডাবলমুরিং থানার অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সহায়তায় বিজয় দাস ও তার বোন সীমা দাসকেও আটক করা হয়। এ সময় জয়নাল আবেদীনের হেফাজতে থাকা ইসির লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ইসির এই কর্মকর্তা।

ওডি/এএস/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড