অধিকার ডেস্ক
পদ্মা সেতুর টোল বুথে কোনো যানবাহন থামতে হবে না। ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতিতে আদায় করা হবে টোল। যা পরিচালিত হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় থাকবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি)। টোল আদায়ের সঙ্গে সেতুর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণেও কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেতু ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি সই করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই সমঝোতা স্মারকে সেতু কর্তৃপক্ষের হয়ে পরিচালক মো. রেজাউল হায়দার ও কেইসির হয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিন ইয়ং সুক স্বাক্ষর করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতু মন্ত্রী বলেন, কেইসির একটি টিম সেতু পরিদর্শন করবে। পরে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও জনবলসহ কারিগরি এবং আর্থিক বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিবে। পরে সেতু কর্তৃপক্ষ ও কেইসির মধ্যে দর-কষাকষি শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
কাদের জানান, সেতুর টোল আদায় করতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করবে কেইসি। যার মাধ্যমে লেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হবে। সে সময় টোল বুথে কোনো যানবাহন থামনোর প্রয়োজন হবে না। ট্রাফিক ইনফরমেশন অ্যাপ্লিকেশন চালু করে সেতুর আওতাধীন যানবাহনের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেনে যাওয়া যাবে। এ বিষয়ে টোল আদায়কারী সংস্থাগুলোকে প্রশিক্ষণ দেবে কেইসি।
তিনি জানান, এ প্রকল্পে মূল সেতুর সবগুলো পাইল ড্রাইভিং কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি এখন শতকরা ৮৩ দশমিক ৫০ ভাগ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার ওই প্রকল্প অনুমোদন হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে এতে রেলপথ যুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। সেতুতে বর্তমান ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সেতুটি মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে শরিয়তপুর এবং মাদারীপুর যুক্ত হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ ঘটাবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড