‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’
নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী বলেছেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিছু মানুষ আছেন যাদের রাজনীতিতে কিছুই দেওয়ার নেই, তারাই ষড়যন্ত্র করছেন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের আগেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় দাবি করে মাহী বলেন, বিদেশে আমার কোনো অর্থ থেকে থাকলে তা অবশ্যই বৈধভাবে আয় করা। আমি মানি-লন্ডারিং করিনি। অবৈধ আয়ে কোনো সম্পদও গড়িনি। দুদক আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করেছে। তারা আমাকে অভিযুক্ত করেননি।
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরার বিরুদ্ধে একতরফা মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় চরিত্রহনন চলছে। গত ২৫ দিন ধৈর্য ধরে সব শুনছি, দেখছি। দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এটা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দুদক আমাকে ডেকেছে। এতে আমি বিব্রত নই। তারা আমাকে বিব্রত করেননি। তারা আন্তরিক ছিলেন। তারা খুঁটিনাটি অনেক বিষয় জানতে চেয়েছেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব, ১০ বছরের ট্যাক্সের নথিপত্র নিয়ে কথা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। সব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছি।
আগামী ২৭ আগস্ট দুদকের তলবের বিষয়ে সংবাদ সম্মলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে সাড়ে ১০টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে রাজধানীর সেগুনবাগিচার কার্যলয়ে হাজির হন মাহী বি চৌধুরী। সেখানে তাকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
ওডি/আরএডি
