নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি জাতিসংঘকে সহায়তা করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবে জার্মানি। রবিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার জার্মান দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
জার্মান দূতাবাস জানায়, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের দ্বিতীয় বছর হিসেবে চিহ্নিত। মিয়ানমার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে টার্গেট করায় সহিংসতা থেকে ৭ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু, নারী ও পুরুষ পালিয়ে এসেছেন। জার্মান সরকার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে সহায়তা দিয়ে আসছে।
বার্তায় আরও বলা হয়, এখনও পর্যন্ত ৯৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য জার্মান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মিয়ানমারে জাতিগত নিধন, হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী তিন মাসে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা নারী গর্ভবতী অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে ১৯৬৮ সাল থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রয়েছে আরও অন্তত চার লাখ রোহিঙ্গা। নতুন করে অনুপ্রবেশের পর গত ২০ মাসে এখানে জন্ম নিয়েছে আরও প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শিশু।
বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দুই দফা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশ। তবে দুবারই সেই প্রস্তুতি ভেস্তে যায়।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। এই যৌথ গ্রুপ বিভিন্ন সময় ঢাকা ও নেপিদোতে বৈঠকও করেছে।
প্রথম দফায় গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সবকিছু চূড়ান্ত থাকলেও সে সময় রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।
এরপর গত ২২ আগস্ট আবারও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে এবারও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ভেস্তে গেছে।
ওডি/এআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড