নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, প্রতিটি কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে কমিশনের সব বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সব সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নিয়ে এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো প্রকার অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব বা শৈথিল্য যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে- কর্মকর্তাদের এমন কোনো আচরণ কমিশন ন্যূনতম সহ্য করবে না।
কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি বার বার আপনাদের সতর্ক করি তারপরও যখন অভিযোগ আসে তখন ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না। অনুসন্ধানের টাইম লাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, এখন থেকে পরিচালক কিংবা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নিচে নামিয়ে দেয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো কোয়ারি দেয়া যাবে না। আমরা এ প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারো গাফলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেয়া হবে না।
দুদক প্রধান বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই। সতর্ক হোন। কমিশনার অসংখ্য মামলার নথি পর্যালোচনা করে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি উদঘাটন করেছেন তা দ্রুত সংশোধন করুন।
সভায় অন্যদের মধ্যে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ওডি/এসএইচএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড