অধিকার ডেস্ক
বিভিন্ন পরিচয়ে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার (২১ আগস্ট) গাজীপুরের টঙ্গিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর থেকে একটানা দীর্ঘ একুশ বছর বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর জন্য যারা সক্রিয় ছিল তাদের দিন এখনো শেষ হয়নি। তারা ছদ্মবেশে সুযোগের অপেক্ষায় ঘাপটি মেরে বসে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা, জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করা কিংবা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা চেষ্টা অথবা যতবার জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্যের চেষ্টা হচ্ছে, মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়ানো হচ্ছে এসবের লক্ষ্য একটাই বাংলাদেশকে ধ্বংস করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ তার বিপদ অতিক্রম করেছে তা মনে করার কারণ নেই। কেননা একাত্তরের পরাজয় পাকিস্তান ও তাদের দোসররা এখনো ভুলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের লড়াইয়ের কথা তারা ভুলতে পারছে না।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কুচক্রী মহলের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা বুকের এক ফোটা রক্ত থাকতেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা সফল হতে দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কখনো পরাস্ত হতে পারে না। জাতির পিতা পরাজয়ের শিক্ষা আমাদের দেননি। বঙ্গবন্ধু জীবনে কোথাও মাথা নীচু করেননি- পরাস্ত হননি। যে মানুষটিকে পাকিস্তানিরা কারাগারে রেখে পাশে কবর খুঁড়ে পাকিস্তান টিকিয়ে রাখার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই মানুষটি নীতির কাছে মাথা নত করেননি, মৃত্যু ভয় পাননি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গত দশ বছরে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে শীর্ষে। এডিবির মতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ১ সেখানে পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৯।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান এবং টঙ্গি থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রজব আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় মহিলা লীগ, ছাত্র লীগ, যুব লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ১৫ আগস্ট শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
সূত্র : বাসস
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড