চামড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আসতে চাই : ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী

‘চামড়া শিল্পনীতি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। আমরা সব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছি। চামড়া সঙ্কট নিয়ে আমরা একটি স্থায়ী সমাধানে আসতে চাই।’

রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া নিয়ে যে পরিস্থিতি গণমাধ্যমে দেখেছি, আমরা দায়দায়িত্ব এড়াতে পারি না। এখানে সবার স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’

সবার সঙ্গে খোলামেলা আলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শিল্প গার্মেন্টসের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত চামড়া। এ কারণে এই শিল্প নিয়ে অনেক কাজ করছি আমরা। আমরা চাই ভবিষ্যতে চামড়া শিল্প যাতে প্রধান একটি খাত হিসাবে থাকে। বর্তমান সমস্যা সমাধান এবং ভবিষ্যতে যেন এ সমস্যার সম্মুখীন না হই সেজন্য সবার সাজেশন নেবো।’

এসময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বছর বছর আমরা কোরবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিই। সবার সঙ্গে আলোচনা করে গত বছরের মতোই এবার দাম নির্ধারণ করেছি। তারা সবাই সম্মত হয়েছিল। আড়তদাররা তখন পাওনা টাকার কথা বলেছিল আর ট্যানারি মালিকরা বলেছিল গত বছরের সব চামড়া তারা বিক্রি করতে পারেনি। সেদিন সবার সম্মতিতে আমরা বলেছিলাম, নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি না হলে আমরা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নেবো।’

আমরা দেখেছি মানুষ চামড়ার দাম না পেয়ে পুঁতে ফেলছে। যারা পুঁতে ফেলেছে তারা কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছে। ২০০ টাকার লবণ লাগালে কয়েক মাস এটি সংরক্ষণ করা যায়। আমরা কাঁচা চামড়া রফতানি করলে দেশীয় চামড়া শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।