• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঈদ যাত্রার সঙ্গী হবে ডেঙ্গু  

  আয়াজ উর রাহমান

০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৩৭
ঈদে ঘরমুখো যাত্রী
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা (ছবি : ফাইল ফটো)

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটির ঘণ্টা বাজলেই বাড়ি ফিরতে শুরু করবেন রাজধানীবাসী। পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে ঈদ উদযাপনের আনন্দ থাকলেও এবারের ঈদ যাত্রায় রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় সঙ্গী হতে পারে ডেঙ্গু। এমন আশঙ্কায় সকলকে রক্ত পরীক্ষা করে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে ফিরে যাবেন। আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এর মাধ্যমে সারাদেশে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ কারণে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে, সবাইকে নিশ্চিত হয়ে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের নিজ এলাকায় সাবধানে থাকতে বলেছেন। বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যেন অন্য কোন মশা কামড় না দেয় সেদিকেই সতর্ক থাকতে হবে। অন্য মশা কামড় দিলে সেই মশা যদি আবার অন্যজনকে কামড় দেয় তাহলেও তিনি আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।

ঢাকার পাশাপাশি রাজধানীর বাইরেও প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের শুক্রবারের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় এবার আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮৭ জনে। এর মধ্যে রাজধানীর বাইরে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ৬৯১ জন।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ হাজার ৯১৯ জন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা অর্ধশতকেরও বেশি।

গত ১৮ বছরের হিসাব অনুযায়ী, এর আগে কখনই এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়ায়নি। অথচ এবার এক মাসেই (জুলাই) ১৩ হাজার ১৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব না হলে অক্টোবর বা নভেম্বরের শেষ পর্যন্তও দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকতে পারে।

জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে অনেকেই এখন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এর মধ্যে যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেকেই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন মূলত ঢাকায় চিকিৎসা ও অর্থের সঙ্কুলান না হওয়ার কারণে।

প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ খবরে জানানো হয়েছে, সারাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৩৫৫ জন। এর মধ্যে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি বলে তারা জানিয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ থেকে দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার ভোর ৫টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক মানবাধিকার কর্মী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শারমিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বলছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া ১৪ হাজার ৬৩৯ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন। ৬ হাজার ৫৮২ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার বাইরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ১৯০ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ৯৬৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ হাজার ২২১ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরবানির ঈদকে সামন্যে রেখে ডেঙ্গুর ভাইরাস সারাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ১২ আগস্ট পালিত হবে দেশব্যাপী পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ঈদ পালনে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৬০ লাখের বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাবেন। এর মধ্যে যারা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তারা এই যাত্রায় শরিক হবে। তাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণ করার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্যত্র ভ্রমণ করে সেখানে তাকে কোন মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। সেই মশা পরে যাদের কামড়ায় তাদের শরীরের ডেঙ্গুরোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবাব ঈদে যারা ঘরে ফিরবেন তাদের অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। এ কারণেই এটির সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদী সব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ঢাকা থেকে যারা যাবেন, তাদের মধ্যে একটা অংশ কোন না কোনভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এদের মধ্যে কারো হয়তো জ্বর থাকতে পারে। আবার কারো হয়তো জ্বর নেই কিন্তু পরে জ্বর হতে পারে।

তিনি বলেন, এটা প্রতিরোধে, কারও যদি জ্বর থাকে তাহলে তিনি যেন ভ্রমণ না করেন। জ্বর থাকলে যেন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে এটা ডেঙ্গু কিনা। আবার কারো হয়তো জ্বর হয়নি কিন্তু ইনফেকশন শরীরে ঢুকে গেছে। জ্বর না হওয়ায় তিনি বুঝতে পারেননি। তিনিও হয়তো চলে যাবেন। এইভাবে ভাইরাস দেশের অন্য অঞ্চলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ডক্টরস ফর হেলথ এ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা ও ব্যক্তি ডেঙ্গু নির্মূলে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা যদি সারাদেশের এডিস মশার প্রজননগুলো সময়মত ধ্বংস করতো তা হলে এ মশার বংশ বিস্তার নষ্ট হয়ে যেত।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডাঃ কাজী রকিবুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের কথা মাথায় রেখে ঢাকার বাইরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করণ ও সঠিক চিকিৎসা প্রদানের প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অতি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এ সকল স্থানে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম অভিযান পরিচালনা করার এখনই সময়।

ডাঃ এম এইচ লেলিন চৌধুরী বলেন, মেয়রদের দায়িত্বহীনতার কারণে সারাদেশে এ রোগের বিস্তার লাভ করেছে। সারাদেশ আজ আতঙ্কগ্রস্ত ডেঙ্গুর ভয়ে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যাও গোপন করা হচ্ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে মশার জীবাণু ও লার্ভা ধ্বংস করার কার্যকরী ওষুধ আমদানি করার দাবি জানান, সঙ্গে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মশার স্থান পরিষ্কার করারও আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ২১ হাজার ২৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫। এ ছাড়া সারা দেশে আরও ৪ হাজার ১৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার নতুন করে এক হাজার ৬৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।

সারাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলায় ২৮২ জন, গাজীপুরে ১৬০, গোপালগঞ্জে ৩১ জন, মাদারীপুরে ৫০ জন, মানিকগঞ্জে ৮৭ জন, নরসিংদীতে ৫৫ জন, রাজবাড়ী ৫৬ জন, শরীয়তপুরে ২৯ জন, টাঙ্গাইলে ৯০ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩৭ জন, কিশোরগঞ্জে ১৬২ জন, নারায়ণগঞ্জে ৫৮ জন এবং ফরিদপুরে ১১ জনসহ মোট ১ হাজার ১০৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ২৮৯ জন, ফেনীতে ১২২ জন, কুমিল্লায় ৮৬ জন, চাঁদপুর ১৪৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪১ জন, লক্ষ্মীপুরে ৫২ জন, নোয়াখালীতে ৭২ জন, কক্সবাজারে ৩০ জন, খাগড়াছড়িতে ১৭ জন, রাঙ্গামাটিতে ৬ জন এবং বান্দরবানে একজনসহ মোট ৮৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।

খুলনা বিভাগ : খুলনা জেলায় ২৩০ জন, কুষ্টিয়ায় ৯৭ জন, মাগুরায় ২০ জন, নড়াইলে ১৮ জন, যশোরে ১৩৪ জন, ঝিনাইদহে ৪৩ জন, বাগেরহাটে ১০ জন, সাতক্ষীরায় ৩১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৭ জন ও মেহেরপুরে ৬ জনসহ মোট ৬০৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী জেলায় ১১১ জন, বগুড়ায় ১৭৭ জন, পাবনায় ৫৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৮১ জন, নওগাঁয় ১৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ জন, নাটোরে ৮ জন ও জয়পুরহাটে ৪ জনসহ মোট ৪৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।

রংপুর বিভাগ : রংপুর জেলায় ১২৩ জন, লালমনিরহাটে ৬ জন, কুড়িগ্রামে ১৭ জন, গাইবান্ধায় ১১ জন, নীলফামারীতে ১৬ জন, দিনাজপুরে ৪৭ জন, পঞ্চগড়ে ৩ জন ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১৮ জনসহ মোট ২৪১ জন আক্রান্ত হয়েছে।

বরিশাল বিভাগ : বরিশাল জেলায় ২০১ জন, পটুয়াখালীতে ৩৭ জন, ভোলায় ২১ জন, পিরোজপুরে ১৬ জন, ঝালকাঠিতে ৮ জন, বরগুনায় ৩৫ জনসহ মোট ৩১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।

সিলেট বিভাগ : সিলেট জেলায় ১২৫ জন, সুনামগঞ্জে ৯ জন, হবিগঞ্জে ১৫ জন, মৌলভীবাজারে ২৮ জনসহ মোট ১৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ৩০২ জন, জামালপুরে ৬১ জন, শেরপুরে ২৫ জন, নেত্রকোণায় ১৩ জনসহ মোট ৪০১ আক্রান্ত হয়েছে।

ডেঙ্গু পরীক্ষা করে বাড়ি ফেরার পরামর্শ সরকারের

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ডেঙ্গু ভাইরাস আকারে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কায় সকলকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের দায়িত্বশীলদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সবাই জ্বর পরীক্ষা করে ঈদে বাড়ি যান। না হলে হীতে বিপরীত হবে।’

ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা না পাওয়া পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটির হাতে দ্রুত কার্যকর ওষুধ আসবে। অত বেশি পরীক্ষা-নীরিক্ষায় যাওয়া যাবে না। এখন সংবেদনশীল মুহূর্ত।’

ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের রক্ত পরীক্ষা করে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। লন্ডন থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে এই নির্দেশনাই পাঠিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) লন্ডন থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন- ‘ঢাকা থেকে যারা ঈদ উদযাপন করতে রাজধানীর বাইরে যাবেন, তারা যেন রক্ত পরীক্ষা করে যান। কারণ তারা যদি ডেঙ্গু নিয়ে বাইরে যান, তাহলে বাইরে অনেক বেশি এটি বিস্তার লাভ করবে।’

ওডি/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড