প্রিয়ার মন্তব্য খতিয়ে দেখা হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে প্রিয়া সাহা কেন এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি একথা জানান।

প্রিয়ার এই বক্তব্য শুনে শাহরিয়ার আলম ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোনো অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে থাকি।

শাহরিয়ার আলম আরও বলছেন, প্রিয়ার অভিযোগগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে।

এর আগে এবিসি নিউজের একটি ভিডিও থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রিয়া সাহার কথোপকথনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওভাল অফিসে বিভিন্ন দেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ট্রাম্পের ওই সাক্ষাতে প্রিয়া দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লাখের মতো হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ‘ডিজঅ্যাপিয়ার্ড’ হয়েছেন।

প্রিয়ার ভাষায়, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এখান থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ‘ডিজঅ্যাপিয়ার্ড’ হয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

এরপর ট্রাম্প জানতে চান, ‘বাংলাদেশ?’

প্রিয়া ‘হ্যাঁ’ বলে আবার অভিযোগ শুরু করেন, এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু আছেন। আমার অনুরোধ প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। আমাদের শুধু থাকতে সাহায্য করুন।

প্রিয়া নিজের পরিস্থিতি নিয়েও ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, আমি ঘর হারিয়েছি। তারা জমি দখল করেছে। কিন্তু এখনো কোনো বিচার হয়নি।

দখলকারীরা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন বলেও দাবি করেন প্রিয়া।