• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আঞ্চলিক শক্তিতে উত্থান বাংলাদেশের

  অধিকার ডেস্ক    ১৬ জুলাই ২০১৯, ২৩:০৮

রেডিফ ডটকম
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট রেডিফ ডটকম এর লোগো ( ছবি : ইন্টারনেট )

আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের নতুন একটি ধারা উন্মোচিত হয়েছে। এটি হচ্ছে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক চীন সফরে এই ধারা উন্মোচিত হয়। এই তো গত বছরই দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।

গত ১২ জুলাই ভারতের জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট রেডিফ ডটকমে প্রকাশিত 'দ্য রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব বাংলাদেশ' শীর্ষক এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়। নিবন্ধে ভারতের সাবেক কূটনীতিক এম কে ভদ্রকুমার বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে 'সোনার বাংলা' বানানোর লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে চান।

নিবন্ধে ভদ্রকুমার লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের উল্লেখযোগ্য ৩টি দিক রয়েছে। তা হলো- প্রথমত, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং বাংলাদেশ-চীন-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডরে (বিসিআইএম) ঢাকার জোরালো অংশগ্রহণ।

দ্বিতীয়ত হচ্ছে, শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের আলোকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একে 'ডিজিটাল সিল্ক্ক রোড' বলে মন্তব্য করেছেন।

তৃতীয়ত, রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জনগোষ্ঠীকে (রোহিঙ্গাদের) দ্রুত, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরত পাঠাতে চীনের প্রতিশ্রুতি।

নিবন্ধে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে চীন সন্তুষ্ট বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতেও চীন আশ্বস্ত। ভারতীয় বলয়ের বাইরে অবস্থান এবং চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষায় শেখ হাসিনার বাস্তববাদিতায় চীন স্বস্তিতে। বাংলাদেশ এই দুটি দেশের কারও পক্ষই নেয় না। এখানে কোনো বৈপরীত্য নেই। কারণ শেখ হাসিনার লক্ষ্য শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা।

নিবন্ধে ভদ্রকুমার আরও বলেন, চীন ও ভারত একজোট হলে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা জোরদার হতে পারে। এর অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। চীন ও ভারত এক্ষেত্রে কেন যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে না?

ভদ্রকুমার লিখেছেন, বস্তুত রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহজনক ভূমিকা পালন করছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের একজন আইনপ্রণেতা রাখাইনকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব করলে শেখ হাসিনা তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব অন্যায় এবং অগ্রহণযোগ্য। শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন ও এই জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে দেশটির নেতারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন।

ওডি/এসএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড