অধিকার ডেস্ক
দেশের ৯৫ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটর করে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বিষয়টি দেখভাল করতে সচেষ্ট রয়েছি।’ এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিক্রি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের সভাকক্ষে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ দাবি জানান।
এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে জনগণকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিক্রি বন্ধে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ফার্মেসি কাউন্সিল এবং ওষুধ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় পেলে আমরা সে মতো দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।’
‘কোনও ক্রেতার হাতে যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ চলে আসে, সে বিষয়টি যেন আমাকে ও ওষুধ প্রশাসনকে অবহিত করে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো,’ বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে দেশে এক লাখ ত্রিশ হাজার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসি রয়েছে জানিয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাহবুব দাবি করেন, “এসব ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার জন্য আলাদা বক্স রয়েছে। সেখানে পরিষ্কারভাবে লেখা থাকে ‘এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, বিক্রির জন্য নয়’।”
তবে এ সময় সাংবাদিকরা ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের আলাদা বক্স থাকার বিষয়ে মেজর জেনারেল মাহবুব দেওয়া তথ্যের প্রতিবাদ জানান। সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ডিজি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। গেল ছয় মাসে পাঁচ জনকে জেল দিয়েছি, ৩শ ৭০টি মামলা দায়ের হয়েছে ও ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড