একটুও বদলাননি ইসি মাহবুব, কথা আগেরটাই!

একাদশ জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে নিজের অবস্থান নিয়ে একটুও বদলাননি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেছেন, ‘এসব নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমি আগে যা বলেছিলাম এখনো তাই বলব। আপনারা নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পেয়ে যাবেন।’

বুধবার (১৯ জুন) বিকালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার প্রেক্ষিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা এবারের উপজেলা নির্বাচনে বড় আশঙ্কার দিক। নির্বাচনবিমুখতা জাতিকে গভীর খাদের দিকে টেনে নিচ্ছে। বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের অনিশ্চিত গন্তব্যে। এমন অবস্থা কাম্য হতে পারে না।

গত ১০ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ করা হয়। এরপর ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভোট, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপ ও ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ জুন) পঞ্চম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ ধাপে বড় একটা অংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় এবারের উপজেলা নির্বাচন একতরফা ছিল।’

ইসি মাহবুব বলেন, একতরফা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠের কোনো অভিব্যক্তি প্রতিফলিত হয় না বলে এর কোনো ঔজ্জ্বল্য থাকে না। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরিতে উপযুক্ত পরিবেশ অপরিহার্য। কিন্তু আমরা ক্রমাগত একতরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, যা গণতন্ত্রের জন্য অনভিপ্রেত।’

তিনি বলেন, আজ্ঞাবহ হয়ে দায়িত্ব পালন করলে ও উপজেলা পরিষদের গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য বিসর্জিত হলে উপজেলা পরিষদ জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হবে।

মাহবুব তালুকদার জানান, কোনো কোনো এমপি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বা সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন এমপিদের আওতামুক্ত না হলে তা কখনো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাদের উপদেষ্টার ভূমিকা উপজেলা পরিষদের কৌলিন্য বিনষ্ট করেছে।’

ওডি/এমআর