অধিকার ডেস্ক
চলতি মাসের ৬ তারিখে ফিনল্যান্ডে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যাওয়ার সময় ভুল করেই পাসপোর্ট বলাকার অফিসে ফেলে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রবিবার (১৬ জুন) এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে আজ সোমবার (১৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম।
অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম জানান, ‘ফিনল্যান্ডে সফররত প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট বলাকা ভবনে তার অফিসে রেখে গিয়েছিলেন। তদন্ত কমিটি তার সঙ্গে কথা বলে এবং এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে, তিনি আসলে ভুল করেই পাসপোর্ট ফেলে গিয়েছিলেন।’
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নাসিমা বেগম আরও জানান, তদন্তে নিয়োজিত চার সদস্যের কমিটি বাড়িয়ে ছয় সদস্যের করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া কমিটির অন্য তিন সদস্য ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বহিরাগমন-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, কমিটির সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই তদন্ত কমিটিকে প্রথমে তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল জানিয়ে নাসিমা বেগম আরও বলেন, পরে কমিটি আরও তিন কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে নেয়। সেই ছয় কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগেই রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের হাতে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এদিকে পাইলট ফজলের পাসপোর্ট রেখে যাওয়ার একই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তারাও প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়েছে। কমিটির সভাপতি সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক, সদস্য সচিব যুগ্ম সচিব (বহিরাগমন-৪) হেলাল মাহমুদ শরীফ, সদস্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।
প্রসঙ্গত, জুন মাসের ৬ তারিখে ফিনল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা একটি হোটেলে বিমানের স্টাফদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিনি কাতারের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দরটির ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীকে দেশটি থেকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের পরিবর্তে বিমানের অন্য পাইলটকে প্রধানমন্ত্রীকে আনতে পাঠানো হয়।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড