• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ওসি মোয়াজ্জেম কোথায় ছিলেন?

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ জুন ২০১৯, ১৮:২৮
ওসি মোয়াজ্জেম
ওসি মোয়াজ্জেম (ফাইল ফটো)

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। আদালতের পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর গ্রেফতার হলেন তিনি।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই আত্মগোপনে যান নুসরাত হত্যাকাণ্ডে বিতর্কিত সাবেক এই ওসি। পরোয়ানার পরও তিনি গ্রেফতার না হওয়ায় দেশজুড়ে বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। তার গ্রেফতার নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীরা গত দু’তিন দিন ধরে জানাচ্ছিলেন- শিগগিরই ওসি মোয়াজ্জেম ধরা পড়বেন। অবশেষে তিনি ধরা পড়লেন। তবে এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন?

মোয়াজ্জেমের গ্রেফতার নিয়ে রবিবার (১৬ জুন) বিকালে পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম ২০ দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। তিনি কোথায় ছিলেন? তাকে কী কারণে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি?’ জবাবে ডিসি মারুফ বলেন, ‘এটি বলা যাবে না, কেননা কেউ গ্রেফতারের পর বলবে না সে কোথায় ছিল।’

মারুফ হোসেন আরও বলেন, আমাদের থানায় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাই তাকে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কারণ নেই। তাছাড়া মাত্র কিছুক্ষণ আগে তাকে ধরা হয়েছে, এখনো তার সঙ্গে কথা বলার সময় পাইনি।

তিনি জানান, শাহবাগ থানাধীন কদম ফোয়ারার সামনে ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হন। তার এখানে থাকার ব্যাপারে আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল। সেখানেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, সোনাগাজী থানায় তার বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট রয়েছে। গ্রেফতারের পরপরই সোনাগাজী থানায় যোগাযোগ করা হয়। ওই থানার প্রতিনিধিদের কাছে ওসি মোয়াজ্জেমকে হস্তান্তর করা হবে। আর হস্তান্তর না করা পর্যন্ত শাহবাগ থানায় রাখা হবে। তাকে আদালতে তোলার সিদ্ধান্ত সোনাগাজী থানা পুলিশের।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে যান ওই ছাত্রী। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে চার-পাঁচজন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে উদ্ধার করে স্বজনরা সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাফি মারা যান। এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া ও মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

গত ১৫ এপ্রিল ওসির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ব্যারিস্টার সুমনের মামলাটি প্রথমে অভিযোগ আকারে ছিল। পরে পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। ওসির বিরুদ্ধে থানায় রাফির বক্তব্য ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়াসহ প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তে প্রমাণিত সব তথ্য-উপাত্তসহ প্রতিবেদন আদালতকে দেওয়া হয়।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড